পড়শিদের উৎপাত যেন বাড়তেই আছে। চিন ও নেপালের সঙ্গে এবার যোগ দিল দোসর ভূটান। এবার ভারতীয় কৃষকদের জল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ভূটানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন চাষিরা। কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছেন তাঁরা। যদিও ভুটান সরকার এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।
প্রসঙ্গত, একদিকে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছেই। অন্যদিকে, ভারতের তিনটি এলাকাকে নিজেদের দেশের মধ্যে দেখিয়ে নতুন মানচিত্র সংসদে পাশ করিয়েছিল নেপাল সরকার। আবার বাংলাদেশকে হাতে রাখতে বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৯৭% শুল্ক মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। তাই অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ভূমিকা কি হবে তা নিয়েও জিজ্ঞাসা চিহ্ন দেখা দিয়েছে। এবার সীমান্ত নিয়ে নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে চলেছে ভূটানও।
बिहार और उत्तर प्रदेश के कुछ जिलों में भारी बारिश और आकाशीय बिजली गिरने से कई लोगों के निधन का दुखद समाचार मिला। राज्य सरकारें तत्परता के साथ राहत कार्यों में जुटी हैं। इस आपदा में जिन लोगों को अपनी जान गंवानी पड़ी है, उनके परिजनों के प्रति मैं अपनी संवेदना प्रकट करता हूं।
— Narendra Modi (@narendramodi) June 25, 2020
উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সাল থেকে অসমের বাকসা জেলায় একটি সেচ খাল দিয়ে ভারতীয় কৃষকদের জল দিত ভুটান। এতে উপকৃত হতেন প্রায় ২৬টি গ্রামের চাষিরা। আচমকাই জল দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভুটান। সরকারের তরফে এখনও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চাষিরাই জেলা প্রশাসনকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রতিবেশীদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে কৌশকগতভাবে ভারতকে কোণঠাসা করতে চাইছে চিন। ভারতের পুরনো শত্রু পাকিস্তান তো আছেই, এবার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভূটান, বাংলাদেশেও ক্রমশই প্রভাব বাড়াতে চাইছে চিন। তাই কৌশলগতভাবেই বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে চিন। নেপালের ওলি সরকারও যে চিনের প্রচ্ছন্ন আসকারাতেই ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত সমস্যা খাড়া করতে চাইছে তাও একপ্রকার স্পষ্ট। এবার ভুটানের হাবভাবেও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, গালওয়ান নিয়ে চিন-ভারত আলোচনার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে কিছু উপগ্রহ চিত্র। সেগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ১৬ থেকে ২৩ জুনের মধ্যে গলওয়ান উপত্যকা এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে চিন। বাড়ানো হয়েছে অস্থায়ী বাঙ্কারের সংখ্যাও৷ ১৫ জুন গলওয়ানের সংঘর্ষস্থলে পুরোদস্তুর সেনা চৌকি তৈরি করে ফেলেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি৷ উল্টো দিকে ভারতীয় সেনার চৌকি থাকলেও, সংখ্যায় বেশ কম।