নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তলানিতে। স্বাভাবিকভাবেই সেনার ভাঁড়ারও তলানিতে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের শিল্পপতিদের বৈঠকে ডাকলেন পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে তিনি দেশের নামকরা শিল্পপতিদের বৈঠকে ডেকে দেশের অর্থনীতির হাল ধরার কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার যে সেনাও হচ্ছে, তাও শিল্পপতিদের জানিয়েছেন তিনি।
তবে ১৯৯৯ সালের পর ফের কি পাকিস্তানের মাটিতে হতে চলেছে সেনা অভ্যুত্থান? ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান? সে দেশের সেনাপ্রধানের পদক্ষেপে মিলছে এমনই ইঙ্গিত। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পাক সেনার ১১১ ব্রিগেডের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান বাজওয়া। এই বাহিনীর জওয়ানদের শীঘ্রই কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু ছুটি বাতিলের সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থানের সম্পর্ক কী?
কূটনৈতিক মহলের দাবি, পাকিস্তানে প্রতিবার বাহিনীর ১১১ ব্রিগেড ব্যবহার করে নির্বাচিত সরকার ফেলে দিয়েছে সেনা। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি দেশের শীর্ষ শিল্পপতিদের সঙ্গেও বৈঠকে বসছেন বাজওয়া। যে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। এর থেকে অনেকেরই অনুমাণ, প্রধানমন্ত্রীকে মূলত হাতের পুতুল বানিয়ে রেখেছে পাক সেনা। অবশ্য পাকিস্তানে বরাবরই সরকারের ওপর সেনা আধিপত্যের অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি ইমরান খান সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার পদে থাকার মেয়াদ তিন বছর বাড়িয়ে দিয়েছেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমরান। নভেম্বরে ৫৯ হবে জেনারেল বাজওয়ার। তাঁর এবারের তিন বছরের মেয়াদকাল শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর, নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই।