নিজস্ব প্রতিনিধি : নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে নিজেই ছুটে যান রাজ্যপাল। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে গেলে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়ে গেলেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। রাজ্যপালের গাড়ির মধ্যেই বসে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আর গাড়ির সামনে শুয়ে ও বসে আছে কয়েক’শ ছাত্রছাত্রী। পুলিশের তরফে ছাত্রদের বলা হয় রাজ্যপাল বয়স্ক মানুষ। তাঁর গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হোক। সঙ্গে সঙ্গেই জবাব আসে, “ওঁনাকে কেউ এখানে আসতে বলেননি।”
কোনওরকমে অনুষ্ঠান শেষ করে আসার পর বাবুলকে ঘিরে ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে দাবি করে বাবুলকে আটকে দেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর যাদবপুর ক্যাম্পাসে গিয়ে বাবুলকে হাত ধরে গাড়িতে টেনে তোলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের গাড়ি এখনও যাদবপুর ছেড়ে বেরোতে পারেনি। রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন ছাত্রছাত্রীরা।
ভিতরে যখন রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলছে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেলে এসএফআইয়ের অফিসে ভাঙচুর চালায় এবিভিপি। বাঁশ, লাঠি নিয়ে চলে ভাঙচুর। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয় রাস্তায়। দমকলের গাড়িও আটকে দেওয়া হয়। ভিতরে ঢুকতে মরিয়া এবিভিপি সদস্যদের আটকাতে মোতায়েন বিশাল পুলিস বাহিনী। মাঝে মধ্যে পুলিসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন হাতাহাতিতে।
দুপুর থেকে এক টানা বাবুলকে ক্যাম্পাসে আটকে রাখার পরই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে ফোন করে বলেন, কেন আগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতি তৈরি হতে দেওয়া হল কেন? একই সঙ্গে রাজ্যপাল ফোন করেন মুখ্য সচিব মলয় দে-কে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তাঁকে নির্দেশ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এবিভিপি-র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং ফ্যাশন ডিজাইনার তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পা দেওয়া মাত্রই উত্তেজনা ছড়ায়। মন্ত্রীকে দেখানো হয় কালো পতাকা। বিরোধী গোষ্ঠীর একদল পড়ুয়া তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। প্রথমে বাবুল সুপ্রিয়র নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বাম ছাত্রদের৷ এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও ধাক্কা দেওয়ার এবং তাঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে৷