দেশজোড়া লকডাউনের জেরে এ বার বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সুইগি। লকডাউনের মধ্যেই আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়া মিটিয়ে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবমিলিয়ে ১১০০ সুইগি কর্মী চাকরি হারাবেন।
সোমবার সংস্থার সমস্ত কর্মীকে ইমেল মারফত বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন সুইগির সহ প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও শ্রীহর্ষ মাজেটি। সংস্থার ব্লগেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। শ্রীহর্ষ জানান, ‘‘আজকের দিনটি সুইগির জন্য অত্যন্ত দুঃখের কারণ দুর্ভাগ্যবশত সংস্থায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে আমাদের।’’
চিঠিতে শ্রীহর্ষ লেখেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত হেড অফিস-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, নানা পদে কর্মরত ১১০০ কর্মীর থেকে আমাদের রাস্তা আলাদা হয়ে যাচ্ছে।’’ যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে তাঁদের সঙ্গে এইচআর বিভাগ থেকে যোগাযোগ করা হবে বলে জানান তিনি। তাঁদের আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও জানান।
सरकारों का दावा है कि वो मजदूरों का ख्याल रख रही हैं। कैसे? मजदूरों को सुरक्षा देने वाले देश के श्रम कानूनों को खत्म करके! है न कमाल की बात?
राग दरबारियों की भाषा में इसी बेशर्मी को कहते हैं- “मास्टर स्ट्रोक”
— Kanhaiya Kumar (@kanhaiyakumar) May 17, 2020
সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, তাঁদের সকলকে কমপক্ষে তিন মাসের বেতন দেওয়া হবে। এ ছাড়াও যত বছর সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তা হিসাব করে প্রত্যেক বছরের জন্য বাড়তি একমাস করে বেতনও দেওয়া হবে কর্মীদের।
নোভেল করোনার প্রকোপ সামাল দিতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। তার জেরে বেশিরভাগ হোটেল-রেস্তরাঁই বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার অনলাইনে খাবার সরবরাহে অনুমতি দিলেও, হাতে গোনা কিছু রেস্তরাঁই খোলা রয়েছে।
#WATCH Migrant workers break police barricades at Uttar Pradesh-Madhya Pradesh border in Chakghat area of Rewa to enter into Uttar Pradesh. pic.twitter.com/GeerWaWzem
— ANI (@ANI) May 17, 2020
এমন পরিস্থিতিতে খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলির ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেঙ্গালুরুতে সুইগির সদর দফতর। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা জানা নেই। তাই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীহর্ষ। লকডাউনের জেরে বেশ কিছু কিচেন ফেসিলিটিও তাঁদের বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, সুইগির প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা জোম্যাটোও ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করে। মোট কর্মী সংখ্যার ১৩ শতাংশের চাকরি যাবে বলে জানায় তারা। তার পরই এ দিন সুইগির তরফে এমন ঘোষণা করা হল।