কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল আমেরিকা। দফায় দফায় বর্ণ বিদ্বেষের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের সামনে সোচ্চার হয়েছেন মার্কিন নাগরিকগণ। এবার সেই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো। খুনই করা হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সরকারি ফরেন্সিক রিপোর্টে ভরসা না রেখে আলাদা করে জর্জের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছিল তার পরিবার। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে, হৃদগতি থেমে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে জর্জের।সরকারি রিপোর্টে জর্জের শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেও শ্বাসরোধের কোনও উল্লেখ ছিল না। সরকারি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, জর্জ হাইপারটেনশনে ভুগতেন। তাঁর হার্টের সমস্যাও ছিল। এমনকি উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য মেথামফেটামাইন ড্রাগও নিতেন তিনি। যদিও তাঁর পরিবার দাবি করে, ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট সামনে আনা হচ্ছে না।
It’s incredible what a dedicated man can achieve!
This farmer planted one tree every day for 37 years.
Transformed a chopped down barren land in Assam, India 🇮🇳 to a wildlife paradise.— Erik Solheim (@ErikSolheim) June 3, 2020
নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে সুকৌশলে চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। হার্টের কোনও সমস্যাই নাকি ছিল না জর্জের। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।জর্জের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আনতে তাঁর পরিবারের আইনজীবী হেন ক্রাম্পের উদ্যোগে আলাদা করে ময়নাতদন্ত করানো হয়। এই বেন ক্রাম্পই মিনিয়াপোলিসের পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। বেন ও জর্জের পরিবারের অনুরোধে নতুন করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আনেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ মাইকেল ব্যাডেন ও অ্যালেসিয়া উইলসন। জর্জের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এনে ব্যাডেন বলেছেন, মৃত্যুর কারণ শ্বাসরোধ করে হত্যা। গলায় মারাত্মক জখম রয়েছে জর্জের। ঘাড়ের কাছের হাড় বেঁকে গেছে। এমনকি পুলিশ অফিসারের হাঁটুর চাপে মাথায় অক্সিজেন পৌঁছনো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জর্জের। হৃদস্পন্দন থেমে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যুর দৃশ্য ভিডিও মারফৎ ভাইরাল হওয়ার পরেই প্রতিবাধের ঝড় ওঠে আমেরিকায়। অন্তত ২৪টি রাজ্যে হিংসার আগুন জ্বলছে। আজ বিক্ষোভের সপ্তম দিনেও নানা জায়গায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভকারীরা। ১৩টি শহরে চলছে রাতের কার্ফু। ন্যাশনাল গার্ডের ১৭ হাজার সেনা নেমেছে রাজপথে। কিন্তু এসত্বেও বিক্ষোভকারীদের ঠেকানো যায়নি।