উম্পুনের প্রভাবেই এবছর রাজ্যে সঠিক সময়েই বর্ষা ঢুকেছে। প্রায় প্রতিদিনই ঝিরঝিরে বৃষ্টি মেঘলা আবহাওয়া এবং পূবালী হাওয়া বইছে। রূপালি শস্য অর্থাৎ ইলিশ ধরার জন্য এটাই অনুকূল পরিবেশ। তাই মৎসজীবিরা মনে করছেন, এবছর ভালো ইলিশ উঠবে। কারণ আবহাওয়া অনুকূল। তার থেকেও বড় কথা, করোনা ও একটানা লকডাউনে দূষণের মাত্রা অনেক কম। ফলে জলের গুণগত মান ভালো। ইলিশ ডিম পাড়ার জন্য মোহনার কাছাকাছি এ বার ঝাঁক বেঁধে আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে।সরকারি নির্দেশিকা মেনে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। ফলে দিঘা, কোলাঘাট থেকে ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ- সর্বত্রই মাছ ধরার ট্রলার পাড়ি দিতে শুরু করেছে মোহনায়।
Beijing city raises COVID-19 emergency response level to II from III https://t.co/1SnvA0fSbI pic.twitter.com/8BKf0xPNKC
— Reuters (@Reuters) June 16, 2020
দিঘা উপকূলের মৎস্যজীবী শ্যামসুন্দর দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘আমাদের পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সব মিলিয়ে শ’খানেক ট্রলার এখনও পর্যন্ত রওনা দিয়েছে। তাদের ফিরতে আরও সময় লাগবে। তবে এ বার পরিস্থিতি সব দিক থেকেই ভালো।’ তিনি আরও জানান, ‘গত অন্তত সাত-আট বছরের মধ্যে গত বার ইলিশ খুবই কম উঠেছিল। অন্যান্য বার গড়ে মোটামুটি ৪০-৪৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ এলেও গত বার ৮-১০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি হয়নি। ফলে দামও ছিল বেশ চড়া। এ বার আবহাওয়া ভালো। তবে বাস্তবে কতটা তা কাজে লাগল, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই অনেকটা বোঝা যাবে।’ ফ্রেজারগঞ্জের মৎস্যজীবী বিভাস কোলের বক্তব্য, ‘পরিস্থিতি ভালো ঠিকই। তবে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ থাকায় এখনও তুলনায় কম সংখ্যক ট্রলার বেরিয়েছে। ধাপে ধাপে বাড়বে।’ অবশ্য উম্পুনের দাপটে মৎসজীবিদের ট্রলার ভেঙেছে, জাল ছিঁড়েছে। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। সেজন্য এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ছে। কারণ অনেকেই এখনও মাছ ধরতে যেতে পারেননি। যদিও সরকারি সাহায্য মিলেছে। তাঁরা সকলেই দেরিতে মাছ ধরতে যাবেন।