লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধের আবহেই ,লাদাখ সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পূর্বেই চিনা সামগ্রী বয়কটের দাবি উঠেছিল। কিন্তু লাদাখ চিন সীমান্তে যুদ্ধের আবহেই দিল্লি-মেরঠ রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট প্রজেক্টের সুড়ঙ্গ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হল চিনা সংস্থাকেই। আর চিনা সংস্থাকে এই প্রোজেক্টের দায়িত্ব দেওয়া হলে চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মোদী সরকারের দিকে কড়া প্রশ্ন ছুড়েছে আরএসএস-ও। দ্রুত চিনা কোম্পানিকে দেওয়া এই বরাত বাতিলের দাবি তুলেছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ, যা আরএসএস-এর শাখা সংগঠন বলেই পরিচিত। অনেকেই বলছেন, প্রতিদিনই যেখানে আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রের শাসক দল, সেখানে এমন যুদ্ধের আবহেও চিনা কোম্পানিকেই কেন বরাত দেওয়া? জানা গিয়েছে, রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট প্রজেক্টের আওতায় প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে সুড়ঙ্গ গড়ে।
Shri @RahulGandhi salutes the supreme sacrifice of our soldiers and questions PM Modi’s continued silence.#GalwanValley pic.twitter.com/pU23MImCzB
— Youth Congress (@IYC) June 17, 2020
এর জন্যে আলাদা টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। ১২ জুন সেই টেন্ডার প্রক্রিয়ার শেষে দেখা যায়, সবচেয়ে কম মূল্যে ওই সুরঙ্গ নির্মাণের দাবি করেছে চিনের ‘সাংহাই টানেল ইঞ্জিনিয়ারিং কো লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা। টেন্ডারে ওই সংস্থা জানায়, ১১২৬ কোটি টাকায় কাজটি করবে তারা। ভারতীয় সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড ট্রুবো সেখানে চেয়েছিল ১১৭০ কোটি টাকা। নিয়ম মাফিক টেন্ডার পায় চিনের সংস্থাটি। এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। লাদাখের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অবশ্য দু দেশের শীর্ষ সেনা আধিকারিকরা বৈঠক করছেন। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এই পরিস্থিতিতে চিনা কোম্পানি বরাত পাওয়ায় আরএসএস-এর মতো সংগঠনও কেন্দ্রকে চেপে ধরেছে। এদিকে লাদাখ সীমান্তে সেনা জওয়ান শহিদ হওয়ার ঘটনায় কৈফিয়ত দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।