সারা বিশ্বে সাংবাদিকতার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পুলিৎজার। প্রতিবছরই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার এই শ্রেষ্ঠ পুলিৎজার পুরস্কার জিতল ভারত। অবরুদ্ধ কাশ্মীরের একাধিক ছবি তুলে অ্যাসোসিয়েট প্রেসে কর্মরত চান্নি আনন্দ, মুখতার আহমেদ ও দার ইয়াসিন এই পুরস্কার জিতেছেন। এছাড়াও রয়েছেন দুই ভারতীয় চিত্র-সাংবাদিক, আদনান আবিদী ও অনুশ্রী ফড়নবিশ। হংকংয়ের প্রতিবাদের ছবির জন্য রয়টার্সের যে ফোটোগ্রাফাররা ‘ব্রেকিং নিউজ’ বিভাগে পুলিৎজার পেয়েছেন, সেই তালিকাতেও আছেন তাঁরা। গত বছরে প্রায় তিন মাস অবরুদ্ধ ছিল কাশ্মীরের জনজীবন। সমস্ত রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল উপত্যকার। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতেও রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন তাঁরা। অ্যাসোসিয়েট প্রেসের এই তিন চিত্রসাংবাদিক পেলেন সাংবাদিকতা জগতের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, পুলিৎজার। গত বছরের মাঝামাঝি সংসদের অধিবেশনে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাও। এর পরে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল কলেজ দোকানপাট সব কিছু। গোটা বিশ্ব থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভূস্বর্গ। কাশ্মীরে এই অলিখিত লকডাউনে নানা কৌশলে ছবি তুলে, তা এপিতে পাঠানো ছিলো রিতীমত চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করেই এই তিনজন জিতে নিলেন পুলিৎজার পুরস্কার। মুখতার আহমেদ জানান, সে সময়ে কাশ্মীরের ছবি তোলা থেকেও, ছবিগুলি কাশ্মীরের বাইরে পাঠানোই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁদের জন্য। বিভিন্ন লোক মারফত তাঁরা তাঁদের মেমোরি কার্ড এবং ড্রাইভ গুলি কোনও রকমে দিল্লির অ্যাসোসিয়েট প্রেস অফিসে পাঠাতেন। অত্যন্ত কঠিন এবং ধৈর্য্যসাপেক্ষ ছিল সেই কাজটি। বলা যেতে পারে সেই অসম্ভব কঠিন কাজকে সম্ভব করেই এই তিন চিত্র সাংবাদিক জিতে নিলেন শ্রেষ্ঠ পুলিৎজার পুরস্কার।