নিজস্ব সংবাদদাতা: এ রাজ্যে তথা দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালু হলে তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। সেটা বুঝেও এত দিন সরাসরি এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী। এ বার মুখ খুলেও সাবধানী শেখ হাসিনা। সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও নিজের ক্ষোভ গোপন রাখলেন না তিনি। আবু ধাবিতে সংবাদ মাধ্যমকে হাসিনা বললেন, ‘‘এই আইনের প্রয়োজন ছিল না।’’ ভারত থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দিলেন আওয়ামী লিগ শীর্ষনেত্রী। আইনে বলা হয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দু, শিখ, বুদ্ধিস্ট, জৈন, পারসিক ও খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের আগে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
তবে সব জেনে বুঝেও চুপ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অবশেষে ভারতের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে তিনি বললেন, আমি বুঝতে পারছি না ভারত সরকার কেন এই আইন পাশ করলো। এর কোনও দরকার ছিল না।নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পরে পরেই বাংলাদেশের তিন মন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তের পরে ভারত থেকে কোনও মুসলিম ব্যক্তি বাংলাদেশে যাননি বলেই জানিয়েছেন হাসিনা। তিনি বলেন, “না, ভারত থেকে কোনও মুসলিম বাংলাদেশে ফিরে আসেননি। কিন্তু ভারতের মধ্যেই অনেকে অনেক সমস্যার মুখে পড়ছেন।” ভারতের তরফে অবশ্য হাসিনার এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।হাসিনার এই মন্তব্যের পরে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তার একটা বড় প্রভাব পড়েছে।
আমার সকাল: সারাদিন পানীয় জল, সিসি্টিভির আওতায় থাকবে রাজধানী! গ্যারান্টি কার্ড প্রকাশ করলেন কেজরীওয়াল
তারমধ্যে এই এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন হওয়ার পর ভারত থেকে অনেক মুসলিম বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও হাসিনা এ দিন বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই এটা মনে করে যে সিএএ-এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও সেটাই মনে করে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে আমার দিল্লি সফরের সময়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে সেই আশ্বাস দিয়েছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে নয়াদিল্লি-ঢাকা পারস্পারিক বোঝাপড়ার সম্পর্ক সবচেয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে।’’