নিজস্ব প্রতিনিধি— আন্টার্কাটিকায় আবার হিমশৈলর ধ্বস। এবার ৩১ হাজার ৫০০ কোটি টন ওজনের একটি হিমশৈল ভেঙে পড়ল সমুদ্রে! বিজ্ঞানীদের অনুমান এত বড় হিমবাহের ধ্বস গত ৫০ বছরে একসঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়নি এখানে। যে বরফখণ্ডটি সমুদ্রে ভেঙে পড়েছে, তা ১ হাজার ৬৩৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছিল। অর্থাৎ, প্রায় স্কটল্যান্ডের সমান এলাকা জোড়া ওই বিশাল বরফের চাঁই ভেঙে পড়েছে আন্টার্কটিকায়। তবে এই হিমশৈলের ভাঙনের কারণ জলবায়ু পরিবর্তন বা বিশ্ব উষ্ণায়ন নয় বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের দাবি, আন্টার্কটিকার পূর্বাঞ্চলে, যেখানে এই ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব সে ভাবে পড়ে না। মহাদেশটির পশ্চিমাঞ্চল ও গ্রিনল্যান্ডের দিকে যে ভাবে বরফ গলছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, সে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নয় পূর্বাঞ্চল। ফলে এই হিমশৈলের ভাঙনের কারণ সম্পূর্ণ অন্য৷ মার্কিন হিমবাহ বিশারদ হেলেন আমান্ডা ফ্রিকার বলেন, ‘‘ভারী তুষারপাতের কারণে অনেক সময়ে আইস সেল্ফের ওজন বেড়ে যায়৷ বাড়তে বাড়তে এক সময়ে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে, তা এ ভাবে ঝরে পড়ে।” তিনি জানান, ডি২৮ নামের ওই হিমশৈলের ঘনত্ব প্রায় ২১৫ বর্গমিটার এবং সেখানে যতটা বরফ রয়েছে, তার মোট পরিমাণ প্রায় ৩১৫ বিলিয়ন টন!

ইউরোপ ও অ্যামেরিকার স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও একটা সময়ে ডি-২৮ নামের ওই বরফের টুকরো ভেঙে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ আন্টার্কটিকার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত অ্যামেরি আইস সেল্ফ থেকে এটি পৃথক হয়ে গেছে৷ তবে হঠাৎ করে নয়, গত দশ বছর ধরে এই ভাঙনের প্রক্রিয়া চলছিল বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷