নিজস্ব প্রতিনিধি : এবার শান্তির আলোচনা বাতিল করার কারণে আমেরিকানদের আরো বেশি করে জীবনহানি হবে বনে জানিয়ে দিন তালবান। সম্প্রতি, গত সপ্তাহে কাবুলে বিস্ফোরণে এক আমেরিকান সৈনিক ও আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়। তার পরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তালিবানের সঙ্গে তাঁদের গোপনে যে শান্তি আলোচনা চলছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্প ওই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তালিবানের তরফ থেকে একথা জানিয়ে দেয।
তালবানের বিবৃতিকে উল্লেখ করে আমেরিকাকে জানিয়েছে, ”এই সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকার বেশি ক্ষতি হবে। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের শান্তি-বিরোধী অবস্থান বিশ্বের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাদের জীবন এবং সম্পদের ক্ষতি বৃদ্ধি পাবে।”
কাবুলে তালেবান হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত হওয়ায় চলমান শান্তি আলোচনা বাতিল ঘোষণা করেন তিনি। এক বিবৃতিতে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে বলেন, একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টি পরিপক্বতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবে হয়েছে।
আমার সকাল : আমেরিকার দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণ, নিহত ১০, আহত আরও বাড়তে পারে
তিনি আরও বলেন, তালেবান এবং আফগান সরকার আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। তবে আফগান সরকার এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
শনিবার রাতে ট্রাম্প ধারাবাহিক টুইটার বার্তায় বলেন, আগামীকাল রোববার ক্যাম্প ডেভিডে তালেবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে বৈঠক বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ট্রাম্প আরো জানান, তিনি তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা স্থগিত রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন। এর কারণে হিসেবে তিনি কাবুলে সাম্প্রতিক বোমা হামলায় একজন মার্কিন সেনা ও ১১ জন নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে বলেন, হামলার দায় তালেবান স্বীকার করেছে।
এর আগে গত সোমবার আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি জালমাই খালিলযাদ জানিয়েছিলেন, তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনুমোদন দিলেই তা স্বাক্ষরিত হবে।
ওয়াশিংটনে আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। যতদিন না আমরা নিশ্চিত হচ্ছি যে, তালিবান তার প্রতিশ্রুতি পালন করবে, ততদিন ওই অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে আনার প্রশ্ন ওঠে না। কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে আফগানিস্তানে বিশেষ দূত হিসাবে জালমিয়া খলিলজাদ নামে এক ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকেও আমেরিকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
ওই সমঝোতার মূল ধারা ছিল আগামী ২০ সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৫,৪০০ সেনা প্রত্যাহার। বর্তমানে প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে মোতায়েন রয়েছে।