শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও চিনা বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই-র দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা হবে। পাশাপাশি এবিষয়ে আজ সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর বৈঠক হওয়ার কথা। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদে জানতে এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চিনা সৈন্য অর্থাৎ লালফৌজ পিছু হটেছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে ও এই কথার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতেই এলএসি-তে সেনাবাহিনীর শেন্যদৃষ্টি রয়েছে। অবশ্য চিনের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষে ঝাও লিজিয়ান জানান, ‘আশা করা যায় দু’দেশের মধ্যে যে সমাধানসূত্র মিলেছে, তাকে ভারত মান্যতা দেবে, সেই মতো তারা কাজ করবে। সীমান্ত পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।’ যদিও সূত্রের খবর এখনো চিনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্যাংগং লেকের উত্তরের ফিঙ্গার ৫ থেকে ৮। সেখানে তারা নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে সেনা ছাউনি ও বাঙ্কার তৈরি করেছে বলেও সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যদিও গত মে মাস পর্যন্ত ওই অংশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর টহল দিত। পাশাপাশি ৩০ জুনের পরে প্যাট্রোলিং পয়েন্ট-১৫ (হট স্প্রিং) এবং গোগরার প্যাট্রোলিং পয়েন্ট-১৭এ এলাকা থেকে পাঁচটি ছাউনি সরিয়েছে চিনা ফৌজ। তবে কিছু নির্মাণ এখনও রয়েছে। সেগুলিতেই করা নজর রাখছেন ভারতীয় সেনাবাহিনী।