অবশেষে পিছু হঠল চিন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার শর্ত মেনে পূর্ব লাদাখের তিনটি এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার পশ্চাদপসরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে চিন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণরেখার কিছু অংশে এখনও টানাপোড়েন অব্যাহত। তাই সমঝোতার শর্ত মেনে নিা সেনা পূর্ব লাদাখের তিনটি এলাকা থেকে সরে গেলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত।
লাদাখের চুসুল সীমান্ত লাগোয়া মল্ডোতে গত ৩০ জুন কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে সেনা পিছনো এবং সেনা সংখ্যা কমানো-র বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেনা সূত্রের খবর, তারপরই ২ জুলাই থেকে সেনা সমাবেশ কমানো শুরু হয়। এর পরে ৫ জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনা বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ইর বৈঠকে লাদাখে পর্যায়ক্রমে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে খুঁটিনাটি ঠিক হয়।
#coronavirus#lockdown#containmentzone#hooghlydistrict#lockdownzones😷🔐 pic.twitter.com/PvfMjpVMSk
— aamarsakal.com (@aamarsakal) July 9, 2020
ইতিমধ্যেই ১৫ জুনের সংঘর্ষস্থল পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মির পিছু হঠেছে। হট স্প্রিং এবং গোগরার পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৭এ থেকেও কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে তারা। সেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৩০ জুনের পরে ওই তিন এলাকা থেকে পাঁচটি ছাউনি সরিয়েছে চিন। কিন্তু এখনও তাদের বেশ কিছু নির্মাণ রয়ে গিয়েছে। ফলে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতীয় সেনাও। তবে আপাতত ওই তিন এলাকায় লালফৌজের সমাবেশ এলএসি-র ওপারে রয়েছে বলেই এদিন উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে।
প্যাংগং লেকের উত্তরের তিনটি পয়েন্ট থেকে চিনা সেনা পিছিয়ে গেলেও ফিঙ্গার এরিয়া ৫ থেকে ৮ এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে বাঙ্কার, নজরদারি টাওয়ার বানিয়েছে তারা। অথচ মে মাসের আগে ওই এলাকাগুলিতে নিয়মিত টহল দিত ভারতীয় সেনা। দৌলত বেগ ওল্ডি বিমানঘাঁটির অদূরে দেপসাং এলাকায় ঢুকে আসা লালফৌজ ভারতীয় সেনার এলএসি বরাবর টহলদারিতে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ।
এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে চলতি সপ্তাহেই দু’দেশের ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম অন কোঅর্ডিনেশন অ্যান্ড কনসাল্টেশন’ বৈঠক হওয়ার কথা। পরবর্তী পর্যায়ে ফের হবে সামরিক স্তরের আলোচনা।