দলিত দম্পতিকে প্রহারের ঘটনায় দুই মহিলা পুলিশকর্মী সহ সাসপেন্ড ছয়।

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক দলিত দম্পতি পুলিশের সামনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে, মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গুনা জেলার এসপি তরুণ নায়েক, গোয়ালিয়র রেঞ্জের আইজি রাজাবাবু সিং এবং সেখানকার কালেক্টর এস বিশ্বনাথনকে বুধবার বদলি করা হয়েছে। তারপর বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেদিনের ঘটনার জন্য ওই এলাকায় উপস্থিত ছয় পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হবে। বৃহস্পতিবার তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জবরদখল উচ্ছেদ তুলতে গেলে দম্পতি পুলিশের সামনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল। রামকুমার আহিরওয়ার ও সাবিত্রীদেবী নামে ওই দম্পতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে গুনা জেলায় ২০ বিঘা সরকারি জমিতে প্রকল্প গড়ে তোলার কাজ চলছে। তার একটি অংশে চাষ করতেন রামকুমার ও সাবিত্রী। ওই জমিরই একপাশে তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন ওই দম্পতি। বৃহস্পতিবার সকালে বুলড্রোজার দিয়ে ওই জমির সমস্ত ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়। এরপর ওই দম্পতির ঝুপড়ি ভেঙে দিতে গেলে, তাঁরা ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। এরপরই ঘরে ঘিয়ে কীটনাশক নিয়ে আসেন সাবিত্রী। একটি শিশি ধরিয়ে দেন স্বামীর হাতে একটি ছিল তাঁর হাতে। পুলিশের সামনেই কীটনাশক খেয়ে নেন তাঁরা। সাবিত্রী আরও বলেন, “আমাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। তিন লক্ষ টাকা দেনা রয়েছে বাজারে। ফসলই যদি চলে যায় তাহলে ওই দেনা শোধ করব কী ভাবে? ওই দেনা কি সরকার শোধ করে দেবে?” অবশ্য গুনা জেলার ডিএম প্রথমে পুলিশকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন। যদিও শেষপর্যন্ত ২ মহিলা কনস্টেবল-সহ সাসপেন্ড করা হল ছয় পুলিশকর্মীকে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, চাপের মুখে পরেই মধ্যপ্রদেশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

3 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন