পুলিশের সামনেই বিষ খেলেন দলিত দম্পতি, চাপে মধ্যপ্রদেশ সরকার।

মধ্যপ্রদেশের গুণা জেলায় জবরদখল উচ্ছেদ তুলতে এসে বিপাকে পড়ল পুলিশ। এক দলিত দম্পতি পুলিশের সামনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল। রামকুমার আহিরওয়ার ও সাবিত্রীদেবী নামে ওই দম্পতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে দু’জনের অবস্থাই স্থিতিশীল। ২০১৮ সাল থেকে গুনা জেলায় ২০ বিঘা সরকারি জমিতে প্রকল্প গড়ে তোলার কাজ চলছে। তার একটি অংশে চাষ করতেন রামকুমার ও সাবিত্রী। ওই জমিরই একপাশে তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন ওই দম্পতি। আজ সকালে বুড্রোজার দিয়ে ওই জমির সমস্ত ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়। এরপর ওই দম্পতির ঝুপড়ি ভেঙে দিতে গেলে, তাঁরা ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। এরপরই ঘরে ঘিয়ে কীটনাশক নিয়ে আসেন সাবিত্রী। একটি শিশি ধরিয়ে দেন স্বামীর হাতে একটি ছিল তাঁর হাতে। পুলিশের সামনেই কীটনাশক খেয়ে নেন তাঁরা। সাবিত্রী আরও বলেন, “আমাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। তিন লক্ষ টাকা দেনা রয়েছে বাজারে। ফসলই যদি চলে যায় তাহলে ওই দেনা শোধ করব কী ভাবে? ওই দেনা কি সরকার শোধ করে দেবে?” অবশ্য গুনা জেলার ডিএম পুলিশকে ক্লিনচিট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা ফুটেজে দেখেছি, পুলিশ কোনও ভুল কাজ করেনি। বরং ওই দম্পতি সরকারের কাজে বাধা দিচ্ছিলেন।” তিনি আরও বলেছেন, “আচমকা বিষ খেয়ে নেওয়ার পর পুলিশই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।” যদিও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি শিবরাজ সিং চৌহানের প্রবল সমালোচনায় সরব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। টুইট করেও এই ঘটনার নিন্দা জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি গুনা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, আপাতত ওখানে কোনও উচ্ছেদ হবে না। তা ছাড়া দলিত দম্পতি যতদিন হাসপাতালে থাকবেন, তাঁদের তিন শিশুর দায়িত্ব নেবে জেলা প্রশাসন।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন