রাম জন্মভূমি নিয়ে বৌদ্ধদের নয়া দাবি।

অযোধ্যার রাম জন্মভূমিকে বৌদ্ধদের ধর্মীয়স্থান হিসেবে দাবি করলেন একদল বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। ওই এলাকায় খনন কার্য চালানোর জন্য এলাকাটিকে ইউনেস্কোর হাতে তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এই দাবিতেই মঙ্গলবার আমরণ অনশনে বসেছিলেন একদল বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাম জন্মভূমির জমি থেকে বেশ কিছু বৌদ্ধ শিল্পকর্ম উদ্ধার পাওয়া থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, ওই এলাকা একটি বৌদ্ধ ধর্মসংস্থান। এছাড়া যে সমস্ত শিল্পকর্ম পাওয়া গিয়েছে সেগুলি জনমসক্ষে আনার জন্যও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস মেলায় অনশন প্রত্যাহার করে নেন সন্ন্যাসীরা।
বর্তমানে জোর কদমে মন্দিরে নির্মাণ কাজ চলছে অযোধ্যায়। এই কাজও বন্ধ করার দাবি জানান অনশনরত বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। তাঁদের বক্তব্য, এই স্থানের ইতিহাস জানতে খননকাজ প্রয়োজন। যে কারণে খননকার্য চালানোর জন্য রাম জন্মভূমিকে ইউনেস্কোর হাতে তুলে দেওয়া হোক। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
বৌদ্ধদের একাংশ মতে, অযোধ্যা ছিল প্রাচীনকালের অন্যতম প্রসিদ্ধ একটি বৌদ্ধ স্থান। সেই সময়ে এর নাম ছিল সকেত। সেই স্বীকৃতি-সহ নানা দাবি নিয়ে অযোধ্যার জেলাশাসকের দফতরের বাইরে সকেত মুক্তি আন্দোলন এবং অখিল ভারতীয় আজাদ বৌদ্ধ ধর্ম সেনা নামক সংগঠনের উদ্যোগে একযোগে অনশনে বসেছেন কয়েকজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী।
এদিকে, রাম মন্দির তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। তিন দশক আগে রাম মন্দিরের নকশা করে রেখেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই নকশা অনুযায়ী, মন্দিরের উচ্চতা ১২৫ ফুট করার কথা হয়েছিল। কিন্তু এখন তা ১৬০ ফুট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতেই রামমন্দির হবে এবং মসজিদ গড়ার জন্য বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে।
এদিকে আজাদ বৌদ্ধ ধর্ম সেনার বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সরকারের কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। এক মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে ওই জমি ইউনেস্কোর হাতে তুলে না দেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন