অসমের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। একটানা কিছুদিন ধরে ভারী বর্ষণই অসমে বন্যার কারণ। ব্রহ্মপুত্র-সহ রাজ্যের একাধিক নদ-নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এ পর্যন্ত বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, অসমের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২১টিই ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১৫ লক্ষ। সবমিলিয়ে রাজ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩। এ ছাড়া ২২ মে থেকে ভূমিধসে মারা গিয়েছেন আরও ২৪ জন। অসমে বন্যায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার পিএমও’র ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করে, এই ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন মোদী। একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে ভয়াল বন্যার আশংকায় শোচনীয় দশা উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের। আর একবার নয়, দুইবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই রাজ্য। মাসেই ঘূর্ণিঝড় উম্পুন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল, তার জেরে অসমের হড়পা বান তৈরি হয়। একটানা সাগরের জলীয় বাষ্পও ঢুকছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ে। আর তার জেরেই সাত জেলায় দু’লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
#Gurgaon#thousandsoflocusts#runningtowards#gurgaonneardelhi#localpeopleratastress#teyhaveasked#tocloseeverypossibleway#oflocustscanenterrooms🤔😥🇨🇮 pic.twitter.com/0X1v8h7Mnl
— aamarsakal.com (@aamarsakal) June 27, 2020
হয়েছিল। বিপর্যস্ত ২২০টিরও বেশি গ্রাম, ৫৭৯ হেক্টর শস্যক্ষেত্র জলের তলায়। সেই বিপর্যয় সামাল দিতে না দিতে ফের একবার বন্যার গ্রাসে পড়ল এই উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি। এছাড়াও পূর্ব অসম ওয়াইল্ড লাইফ বিভাগের ডিএফও জানিয়েছেন, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে বন্যায় ৪১টি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রচুর সংখ্যক গবাদিপশুও মারা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক পোলট্রি ফার্ম।