চিনকে চাপে ফেলতে দক্ষিণ সাগরের পথে মার্কিন রণতরী।

চিনের ওপর চাপ বাড়াতে এবার সরাসরি আসরে নেমে পড়ল আমেরিকা। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ, হংকং নিয়ে ব্রিটেন ও কানাডার চাপ এসবরে মাঝেই লাল ড্রাগনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে চলেছে আমেরিকার সিদ্ধান্ত। এরফলে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরের উত্তাপ যে আরও বাড়তে চলেছে তা বলাইবাহুল্য।
শুল্কযুদ্ধ, হংকং নিয়ে সিদ্ধান্ত, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে চিনের ঝগড়া চলছিলই। কিন্তু আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে নতুন করে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে চলেছে চিন। এর জেরে উত্তেজনা বাড়ছে ওই এলাকায়। একদিকে যখন এই বিতর্কিত অঞ্চলের প্যারাসেল দ্বীপের কাছে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে বেজিং। ঠিক তখনই চিনের রক্তচাপ বাড়িয়ে, শনিবার ওই সাগরেই মহড়া দেওয়ার জন্য পাল্টা দুটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে আমেরিকা। পেন্টাগনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছে বেজিং। কিন্তু বিতর্কিত এলাকায় সেনা মহড়া নিয়েও চিনকে পাল্টা তোপ দেগেছে আমেরিকা এবং দক্ষিণ চিন সাগরের উপকূলবর্তী একাধিক দেশ।

 

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরের দখলদারি নিয়ে টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। বরবরই ওই অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। এ বিষয়ে ওই সাগরের উপকূলবর্তী অন্য দেশগুলির দাবিকে কোনওরকম গুরুত্ব দিতে নারাজ বেজিং।
গত সপ্তাহেই চিন জানিয়েছিল, পয়লা জুলাই থেকে ৫ দিনের জন্য দক্ষিণ চিন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে সামরিক মহড়া চালাবে তারা। এই প্যারাসেল দ্বীপটির দখল নিয়েও চিনের সঙ্গে ভিয়েতনামের ঝামেলা চলছে। অপরদিকে এই মহড়া চলাকালীনই দক্ষিণ চিন সাগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে মার্কিন রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ এবং ইউএসএস রোনাল্ড রেগন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন