জন্ম ১৯৫৬ সালের ২০ নভেম্বর। বিজ্ঞানে স্নাতক। এরপর শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা বিশ্বেশ্বরায়া কলেজে। শিক্ষিকা হিসেবে হাইস্কুলে যোগ দেন ১৯৯৭ সালে। পূর্ণসময়ের রাজনীতিক হবেন বলে সাত বছর পরে সেই স্কুলের প্রিন্সিপালের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এতসব পেশাগত সাফল্যে আড়ালে চলে গিয়েছিল পোশাকি পরিচয়। তিনি কে কে শৈলজা বা ‘শৈলজা টিচার’। বিশ্বমারি করোনাকালে যাঁকে নতুন ভূমিকায় পেল কেরল। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি আক্ষরিক অর্থেই করোনা-রোধী।
পিনারাই বিজয়ন মন্ত্রিসভায় দু’জন মহিলা বিধায়কের এক জন হলেন কান্নুর জেলার বাসিন্দা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা। কেরলে করোনা নিয়ন্ত্রণে অসামান্য কাজ করেছেন তিনি। তাই বিশ্ব জনসেবা দিবসে তাঁকে সম্মান জানাল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। শুধু তাই নয় করোনা মোকাবিলায় তাঁর ভূমিকার জন্য তাঁকে পুরষ্কৃতও করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এছাড়াও রাষ্ট্রসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক স্তরে কোভিড লড়াই নিয়ে প্যানেল বক্তা হিসেবেও গিয়েছিলেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরাও করোনা রোখায় শৈলজার উপদেশ নিয়েছেন।
#PetrolPrice#PetrolPriceHike #India#80rupees#dieselcostsmore🤨🔥 pic.twitter.com/ZFXfL94yhb
— aamarsakal.com (@aamarsakal) June 25, 2020
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মান পাওয়ার পর তাঁর প্রশংসার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। টুইটারে তাঁকে “ভারতের নতুন মুখ”, “কেরলের গর্ব” বলে অভিহিত করছেন নেটিজেনরা।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার বিধায়ক হন নিজের জন্মস্থান কান্নুর জেলার কুথুপরম্ব কেন্দ্র থেকে। বর্তমানে তিনি সেই কেন্দ্রেরই বিধায়ক তথা কেরলের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। কঠোর পরিশ্রমী হিসেবেই পরিচিত এই সিপিএম নেত্রী।
নিজেও যেমন কাজ করেন, ঠিক সে রকমই নিজের মন্ত্রকেও কোনও কাজে ঢিলেমি বরদাস্ত করেন না। সহকর্মীদের কথায়, অসুস্থ অবস্থাতেও নিজের দফতরের কাজে তাঁকে সবসময়ই পাওয়া যায়। প্রয়োজন পড়লে মাঝরাতেও তিনি হাজির হয়ে যান মন্ত্রকে। স্বামী কে ভাস্করন এবং দুই ছেলের পাশাপাশি প্রত্যেক কেরলবাসীকে নিয়ে তাঁর সংসার।
এর আগে নিপা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন শৈলজা। তাঁর সেই সময়ের ভূমিকা মালয়ালম ভাষায় একটি সিনেমাও তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে বিদেশের মাটিতে করোনা সংক্রমণের খবর সামনে আসার পর থেকেই এই ভাইরাসকে রুখতে সম্ভাব্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল কেরলেরস স্বাস্থ্য দফতর। যখন অন্যান্য রাজ্য তো দূরের কথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক করোনা নিয়ে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতেই পারেনি।