চিন-ভারত সীমান্ত টানাপোড়েনের ছাপ পড়ল বাণিজ্যেও। চিন থেকে আমদানি করা সমস্ত জিনিসকে ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ করে দিল কলকাতা বিমানবন্দর ও বন্দর। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য বিমানবন্দর ও বন্দরও চিনা দ্রব্যকে ছাড়পত্র দিতে অস্বীকার করেছে। মঙ্গলবার এয়ার কারগো এজেন্ট এ কথা জানিয়েছে। লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা এবং ভারতীয় জওয়ানদের শহিদ হওয়ার ঘটনার পর দেশজড়ে যখন চিনা দ্রব্য বয়কটে মানুষ সোচ্চার হয়েছে, তখনই শুল্ক দফতরের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ।
#SushantSingRajput#Instagram#memorized#susantsinghrajputs#instagramaccount#Instagram#showedhonourfor#,susantsinghrajput#noonecan#use#delete#enter#inhisinstagramaccount💞😔💕😘😥💞 pic.twitter.com/IKozLXkPHM
— aamarsakal.com (@aamarsakal) June 24, 2020
এয়ার কারগো এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ও কারগো ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জয়দ্বীপ রাহা জানিয়েছেন, ‘বন্দর টার্মিনাল ও বিমানবন্দর-সহ সব কারগো কর্তৃপক্ষকে শুল্ক দফতর অভ্যন্তরীণ নির্দেশে জানিয়েছে, চিন থেকে আসা সব জিনিসেই ছাড়পত্র না-দিতে। আগেই ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়া কনসাইনমেন্টকেও না ছাড়তে বলা হয়েছে। সেগুলি ছাড়ার আগে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা সার্কুলার জারি করেনি কাস্টমস। মুম্বই ও চেন্নাইতেও ক্লিয়ারেন্স হোল্ড করে রাখা হয়েছে।’
এর ফলে কলকাতায় আটকে পড়েছে প্রায় ৪০ টন কারগো। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। কলকাতা বিমানবন্দরের মাধ্যমে প্রায় ১৮,০০০ টন আমদানিকৃত জিনিসের মধ্যে ৬৫%-ই আসে চিন থেকে। এর মধ্যে থাকে ইলেকট্রনিকসের জিনিস, পারফিউম, জামাকাপড়, মেশিনপত্র, যন্ত্রাংশ, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিক্যালস, বিভিন্ন রাসায়নিক, প্লাস্টিক দ্রব্য সহ আরও অনেক কিছু। প্রায় ২৫০ রকমের জিনিস আমদানি করা হয় চিন থেকে।