করোনা সঙ্গী হবে স্বাভাবিক জীবনের। এই ভাইরাস নিয়ে সম্প্রতি সময়ে এমনটাই মতামত বিশেষজ্ঞদের। ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে লকডাউন। আর খুব বেশি দিন ঘরে আটকে রাখা সম্ভব নয় সাধারন মানুষ কে। তাই করোনা ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে আগামী এক থেকে দেড় বছর অন্তত পক্ষে যতদিন পর্যন্ত না ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন বাঁচতে হবে বিশ্ববাসীকে, মতামত বিশেষজ্ঞদের।
করোনাকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত সচেতনতা এবং বিশেষজ্ঞদের বেঁধে দেওয়া নিয়মাবলীর পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ। যতদিন না পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো সুষ্ঠু সমাধান মেলে ততদিন এই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সাধারণ মানুষের সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানালেন
বিশিষ্ট চিকিৎসক ড: অলক কুমার মল্লিক। তাঁর মতে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা দরকার। সেজন্য জন্য ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন সি খুবই কার্যকরী। এজন্য সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের রশ্মি গায়ে মাখতে হবে। এক্ষেত্রে দেহে যাতে ট্যান না পড়ে, সেজন্য ময়েশ্চারাইজার হিসাবে দেহে সরষের তেল কিংবা বডি অয়েল মাখা যেতে পারে। এছাড়া ভিটামিন সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া ফল বা খাদ্য সামগ্রী সেবন করা যেতে পারে। যেমন আমলকি, পেয়ারা, লেবু, জিরা, হলুদ, ধনে, দারচিনি, গ্রিন টি, আদা, রসুন, তুলসী, বাসক, মধু, এলাচ, ইত্যাদি।
দ্বিতীয়তঃ শরীর থেকে করোনা ভাইরাসকে দূরে রাখার জন্য প্রতিদিন গরম জলে গারগেল করা যেতে পারে। না হলে গরম চা কিংবা দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
তৃতীয়তঃ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী তা হল নিয়মিত শরীর চর্চা করা। ড: মৌলিকের মতে প্রতিদিন চার কিলোমিটার করে হাঁটলে বা জগিং করলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়। একই সঙ্গে যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশনও সমান কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
চতুর্থত, কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশ মত হোমিওপ্যাথি ওষুধ যথা আর্সেনিকাল এলবাম থার্টি প্রতি মাস অন্তর পরপর তিনদিন করে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে। এই ওষুধ দেহে করোনাভাইরাস প্রবেশ বন্ধ করতে না পারলেও এর ফলে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে। যদিও বাজারে এই ওষুধের দাম খুবই সস্তা যা যে কোন মানুষের পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব। এছাড়াও ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে একেবারেই বিরত থাকার কথা বলেছেন ডঃ মৌলিক। তিনি আরও জানান, রোগ নিরাময় করার খরচের থেকে আগাম সর্তকতা নেওয়ার খরচ অনেকটাই কম এবং অনেক বেশি কার্যকরী।