বিজেপিকে পাল্টা দিতে চিনা সামগ্রীতে ২০০% কর বসানোর দাবি বামেদের !

গত শুক্রবারের গণশক্তি পত্রিকায় চিন-ভারত বিবাদ নিয়ে দেশবিরোধী বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির মহিলা মোর্চা। তার প্রেক্ষিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এবার আরও একধাপ এগিয়ে চিনা পণ্যে ২০০% কর বসানোর দাবি তুললেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। ওইদিন প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দাবি করেন, ‘গণশক্তি পত্রিকার একটি সংবাদকে বিকৃত করে গত দুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি এবং আরএসএস’এর আইটি সেল। লাদাখে ভারত চীন সংঘাতের ঘটনার সংবাদের একটি ছোট অংশকে তুলে ধরে বিকৃত প্রচারের ভিত্তিতে বিজেপি’র মহিলা মোর্চা শনিবার গণশক্তি পত্রিকা দপ্তরের বিপরীতে জোড়া গির্জার সামনে বিক্ষোভের নামে রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ এই বিশৃঙ্খলা চলার পরে পুলিশ অবশ্য বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করেছে। একটি ফেক নিউজ বানিয়ে সংবাদপত্র দপ্তরের সামনে বিজেপি’র এই ঘৃণ্য কৌশলের তীব্র নিন্দা করছি। এটাই এদের ফ্যাসিস্টিক কায়দা। উল্লেখ্য, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে, গণশক্তি সবসময়েই সেই ভূমিকা পালন করে চলেছে।’

আর এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের গোটা দেশের এখন একচ্ছত্র রাজ চিন আর আমেরিকার পণ্যের। ওই দুই দেশের জন্যে আমাদের নিজস্ব শিল্প ও কর্মসংস্থান শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা চাই বিদেশি পণ্যের থেকে মানুষ বেশি বিদেশি পণ্যই কিনুক। এটা করতে পারে কেবল কেন্দ্রীয় সরকারই। কিন্তু সেখানে চিনা পণ্য বয়কটের নামে শুধুই নাটকবাজি চলছে। কেন্দ্র কেন বলছে না চিনা দ্রব্য বয়কট করুন? বিজেপির ক্ষমতা আছে কেন্দ্র থেকে এটা বলার?’
এরপরই সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন, ‘ প্রয়োজনে চিন ও আমেরিকার সামগ্রীর উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক কর চাপিয়ে দিক কেন্দ্র।’ আমেরিকা বরাবরই বামেদের ‘ঘোষিত’ শত্রু। বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্য গোটা দেশের সঙ্গে চিনের বৈরিতার কারণে নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করতে হচ্ছে বামেদের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন