দেশের অলম্পিক দলে স্থান হাওড়া স্টেশনের টিটির।

এখন তাঁর সামনে অলিম্পিক পদকের হাতছানি। আর তাই মহেন্দ্র সিং ধোনির দেখানো পথেই পা বাড়ালেন হাওড়া স্টেশনের টিটি ভাবনা জাট। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সাত মাস আগে ভাবনাও হাওড়া স্টেশন থেকে জয়পুরের ট্রেনে ওঠেন। ঠিক যেমন জাতীয় টিমের জার্সি পরার লক্ষ্যে খড়গপুর স্টেশন থেকে কাউকে না বলে ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন ধোনি। রাজস্থানের কাবরা গ্রামের মেয়ে ভাবনা জাট। হাওড়া স্টেশনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বরে গেটে দাঁড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত যে মেয়েটা টিকিট পরীক্ষা করতেন। ফেব্রুয়ারিতে রাঁচিতে ওপেন অ্যাথলেটিক্স মিটের ২০ কিলোমিটার হাঁটায় অলিম্পিকের টিকিট পান তিনি। যে সময় তিনি করেছেন তার থেকে ১ মিনিট কমালে পোডিয়ামে ওঠার সম্ভাবনা। সেই লক্ষ্যেই ভাবনা বেঙ্গালুরু সাইয়ে জাতীয় শিবিরে বিদেশি কোচ আলেকজান্ডারের কাছে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।

আলেকজান্ডার অ্যাথলেটিক্স কর্তাদের বলেছেন, ভাবনার হাঁটার টেকনিক এতটাই ভালো যে, ২-৩ মিনিট সময় কমানো অসম্ভব নয়।হাওড়ায় ডিউটিতে কড়াকড়ির জন্য প্র্যাক্টিসের সুযোগ কম পেতেন। পারফরম্যান্স গ্রাফ দ্রুত পড়ে যাচ্ছিল। ডিসেম্বরে তিনি বেতনহীন ছুটি নিয়ে তিন মাসের জন্য জয়পুরে চলে যান ব্যক্তিগত কোচ গুর্মুখ সিহারের কাছে ট্রেনিং করতে। ‘সে দিন ঝুঁকি নিয়ে বিনা বেতনে ছুটি নিয়ে জয়পুর গিয়েছিলাম বলেই জাতীয় মিটে জাতীয় রেকর্ড গড়ে অলিম্পিকের টিকিট পাই।’ অলিম্পিকের টিকিট পেতেই অবশ্য রেল তাঁর তিন মাসের বেতন দিয়ে দিয়েছে। যদিও রেলের খাতায় তিনি হাওড়ার টিকিট কালেক্টর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন