মেয়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে মৃত্যু মায়ের।

বাগনানে এক কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে মৃত্যু হল তাঁর মায়ের। ঘটনায় অভিযুক্ত শাসকদলের এক স্থানীয় নেতা। ঘটনার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ জনতা।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে বাগনানের গোপালপুরের বাসিন্দা ওই কলেজছাত্রী বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় পাঁচিল টপকে কার্নিস বেয়ে ছাদে উঠে আসে ওই এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামী কুশ বেরা। কুশ ছাদে উঠে পিছন থেকে ওই ছাত্রীকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ওই কলেজছাত্রী ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠলে ছাদে উঠে আসেন তাঁর মা। প্রতিবেশীদের একাংশের কথায়, অভিযুক্ত সেই সময় ছাত্রীর মাকে ধাক্কা মেরে সিঁড়ি দিয়ে নেমে পালিয়ে যান। ধাক্কা খেয়ে টাল সামলাতে না পেরে সিঁড়ি দিয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পান ছাত্রীর মা। রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই বুধবার সকালে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার।

#SushantSingRajput#Instagram#memorized#susantsinghrajputs#instagramaccount#Instagram#showedhonourfor#,susantsinghrajput#noonecan#use#delete#enter#inhisinstagramaccount💞😔💕😘😥💞 pic.twitter.com/IKozLXkPHM

— aamarsakal.com (@aamarsakal) June 24, 2020

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা থানায় জমায়েত হয়ে অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানান। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অভিযুক্ত শাসকদলের নেতা হওয়ায় পুলিশ প্রথমে গড়িমসি করে। পরে বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং সৌমিত্র খাঁ। লকেট ওই ছাত্রীকে নিয়ে বাগনান থানায় যান। সেখানে লকেট বলেন, ‘‘গোটা দিন কেটে গেল তার পরেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। অথচ অভিযুক্ত পরিচিত। পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয় তা হলে আমরা বড় আন্দোলনের পথে যাব।”
এর পর এ দিন বিকেলে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত কুশকে। অন্য দিকে, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাগনানের খাদিনান মোড়ে অবরোধ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট অবরুদ্ধ থাকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে আড়াল করার প্রশ্ন নেই। আইন আইনের পথে চলবে। ওই ব্যক্তি যদি অপরাধ করে থাকেন তবে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।”