পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় হামলার পর, এবার সরাসরি সাইবার যুদ্ধে লেগে পড়েছে চীন। ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থাগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, বিগত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৪০,৩০০ বার ভারতীয় সাইবার স্পেসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে চিনা হ্যাকাররা। এপর্যন্ত নানাসময়ে ৪০,৩০০ বার ভারতীয় সাইবার স্পেসে হামলার চেষ্টা করেছে। নিরাপত্তা সংস্থার হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, চিনের সিচুয়ান প্রদেশ থেকেই সবথেকে বেশি বার সাইবার হামলা হয়েছে। এই সিচুয়ান প্রদেশই চিনের ‘সাইবার ওয়ারফেয়ার’ বা সাইবার-যুদ্ধের সদর দফতর।
Join Mark Carney and Salesforce President & CEO International, Gavin Patterson as they discuss #COVID19 recovery plans that are economically and environmentally sustainable.
We’re 🔴 LIVE on #LeadingThroughChange. Tune in now: https://t.co/jx5qiKg8bt
— Salesforce (@salesforce) June 23, 2020
বেজিংয়ের নির্দেশেই এই সাইবার হামলার চেষ্টা হয়েছিল, নাকি রাষ্ট্রীয় শক্তির বাইরে থাকা কোনও শক্তি এই সাইবার হামলা চালিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সাইবার স্পেসে হামলা চালাতে মূলতত দু’টি প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমটি হল যদি কোনও ইউটিলিটি প্রাইভেট ওয়েবসাইট মাত্র এক হাজার অনুরোধে সাড়া দেয় বা অ্যাকসেপ্ট করে, চাইনিজ হ্যাকাররা সেই ক্ষমতা ১০ লক্ষে বাড়িয়ে দিয়ে পারে। যার জেরে সেটআপই ক্র্যাশ করে যাবে। দ্বিতীয়টি হল ইন্টারনেট প্রোটোকল হাইজ্যাক। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেট অ্যাকাউন্ট বা ট্র্যাফিককে চিন হয়ে ডাইভার্ট করতে পারে। উদ্দেশ্য, নজরদারি করা। সাইবার বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত মালির বক্তব্য, চিনা হ্যাকাররা যে ভাবে অ্যাটাক করছে, তা আসলে একটি ‘সাইবারযুদ্ধ’। কিন্তু, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এগুলি পিপলটস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ চিনা সেনারা করে না। তবে, যে হ্যাকারদের এ কাজে নিযুক্ত করা হয়, তারা পিএলএ নিয়ন্ত্রিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবেই চিন বুঝিয়ে দিতে চাইছে, তারা ভারতের বন্ধু রাষ্ট্র নয়।