ভাগ্নেকে অপহরণে ধৃত মামা।

ভাগ্নেকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মামাকে। তিলজলার এই ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ভাগ্নেকে খেলতে নিয়ে গিয়েছিল মামা। তারপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে বালকের মায়ের কাছে।লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় শনিবার ভোরে মহম্মদ ইমরান, রণজিৎ কুমার এবং বিশ্বজিৎ কুমার নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে তিলজলা থানার পুলিশ। ইমরান সম্পর্কে ওই বালকের মামা।

জানা গিয়েছে, ওই বালকের বাবা সৌদি আরবে থাকেন। আর মায়ের সঙ্গে তপসিয়া রোডে থাকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ওই বালক। তদন্তকারীদের বক্তব্য, রোজ একাই খেলতে যেত বালকটি। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করেই ইমরান ভাগ্নেকে খেলতে নিয়ে যায়। বেশ রাত হয়ে গেলেও ওই বালক ফিরে না আসায় তার মা বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে খুঁজতে যান। ইতিমধ্যেই তার মাকে মোবাইলে ফোন করে জানানো হয় তার অপহরণের খবর। সেইসঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়। রাতে বালকের মা তিলজলা থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে হঠাৎ করে ভাগ্নেকে নিয়ে খেলতে যাওয়া, এক সঙ্গে না ফেরার পরও পুরো ব্যাপারটাতে নির্লিপ্ত থাকায় তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়ে। পুলিশ আরও জানতে পারে, সে তার দিদিকে পুলিশের কাছে যেতে বাধা দেয়। এমনকি অপরহরণকারীদের নম্বরও তার মোবাইল থেকে মুছে দেয়। এরপর পুলিশ ডাকলে সে একবার থানায় যায়। কিন্তু তারপর থেকেই সে বেপাত্তা হয়ে যায়। এতেই ঘটনায় তার জড়িত থাকার সম্ভাবনার সন্দেহ দৃঢ় হয় তদন্তকারীদের। রাতে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। জেরায় সে কবুল করে সব কথা।
তাকে গ্রেফতারের পরে অপর দুই দুষ্কৃতি রণজিৎ ও বিশ্বজিৎকে পুলিশ পর্ণশ্রী থানা এলাকার একটি গেস্ট হাউস থেকে ধরে। তদন্তকারীরা জানান, ভাগ্নের পরিবারের থেকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যেই বিহারের ছাপরা থেকে রণজিৎ ও বিশ্বজিৎকে ভাড়া করে এনেছিল ইমরান। অপহৃত বালককে ওই গেস্ট হাউস থেকেই উদ্ধার হয়। ধৃতদের এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে ন’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয় বলে সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল জানিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন