মাত্র ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই উত্তরপাড়া ব্যাঙ্ক ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ। শুক্রবার উত্তরপাড়া রাজেন্দ্র এভিনিউয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় ভরদুপুরে হানা দেয় ডাকাতদল। ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৩২৫ টাকা লুট করে। চন্দননগরের কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানান, ডাকাতির পর ভদ্রকালী মোড়ের পিছনের জঙ্গলে টাকা ভাগ করতে জড়ো হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। নির্ধারিত সূত্রে খবর পেয়ে চন্দননগরের ডিসি ঈশানী পালের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে সঞ্জয় পাসোয়ান ওরফে ছোটু, তাপস দাস ওরফে গোপাল এবং সঞ্জীব পাসোয়ানকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করেই প্রীতম ওরফে দেবজিতের নাম জানতে পারে পুলিশ।
#whoisthis!!!!#worldcupwinner1986#maradona🤔😅😷 pic.twitter.com/HvD0PxRoqE
— aamarsakal.com (@aamarsakal) June 4, 2020
চুঁচু্ড়ার রবীন্দ্রনগরে প্রীতমের শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি বাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়। প্রীতমের কাছ থেকে ১০ লাখ ৮ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার হয়। হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘পেট্রল পাম্প ডাকাতির ঘটনায় ২০১৪ সালে ওড়িশায় ধরা পরে জেল হয়েছিল প্রীতমের। চৌদহা জেল থেকে ফেরার হয় সে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দশ-বারোটা ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে এই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সোনার দোকানে ডাকাতি, পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি, ব্যাঙ্ক ডাকাতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
’’ধৃতদের কাছ থেকে একটি মোটরবাইক এবং একটি চার চাকার গাড়ি পাওয়া গেছে। ডাকাতির জন্য দুষ্কৃতীরা এই গাড়ি দু’টিই ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার উদ্ধার করা হয়েছে।জেরায় প্রীতম জানিয়েছে, লকডাউনের সময় বিহারের বসেরা গ্রাম থেকে সাইকেল নিয়ে আসে। উত্তরপাড়ায় এক সময় থাকত প্রীতম। তাই তার চেনা জায়গা। ডাকাতির আগে ব্যাঙ্কে গিয়ে দু’বার রেইকিও করে সে। ধৃত সঞ্জয় পাসোয়ান বাস কনডাক্টর। তাপস রঙের কাজ করে। সঞ্জীব পাসোয়ানও ড্রাইভার। এরা তিনজনেই প্রীতমের পূর্ব পরিচিত। উল্লেখ্য, তদন্তে নেমে সোর্স ইনফরমেশান ও সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তারপরেই ঘটনার কিনারা করে পুলিশ।