পরশু ২৩ জুন রথ। তার আগ দ্বিমুখী চাপে ওড়িশার সরকার। একদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়। অন্যদিকে ধর্মীয় ভাবাবেগ। কেননা সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, করোনা মহামারির এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই এবছর পুরীর রথযাত্রায় অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। সেই বৈঠকেও সিদ্ধান্ত হয়, রাজ্য.সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই পদক্ষেপ করবে। তারপর শনিবার পুরীর রাজা গজপতি দিব্যসিংহ দেব দীর্ঘ চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রীকে। যার মূল কথা রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাক। রায়
Claim: A viral message of an order allegedly from NIC claims that @GoI_Meity has prohibited some apps from being made available on App Stores. #PIBFactCheck: The Order is #Fake. No such instruction has been given by @GoI_MeitY or NIC. pic.twitter.com/Dt7rMR7nIz
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) June 19, 2020
পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হোক। শনিবার পুরীর মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান পুরোহিত এবং পাণ্ডারা। তাঁদের দাবি, রথযাত্রায় অনুমতি দেওয়া হোক। দুর্যোগ, মহামারী কোনও কারণেই রথযাত্রা বন্ধ হতে পারে না। দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি হওয়া পুরীর মন্দিরের প্রথম সেবক পুরীর রাজা। তিনিই মন্দির পরিচালন কমিটির মুখ্য। এদিন কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন গজপতি দিব্যসিংহ দেব। তিনি ওই চিঠিতে লেখেন, “কোনও ভাবেই রথযাত্রা বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তা সে যে পরিস্থিতিই হোক না কেন। অন্তত পুরীতে রথযাত্রায় অনুমতি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।” নবীন পট্টনায়েকের উদ্দেশে তিনি আরও লেখেন, “ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ রথযাত্রা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন। রথযাত্রা বন্ধ করা মানে ওড়িশার মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হবে। শেষ পর্যন্ত নবীন পট্টানায়েক সরকার কি সিদ্ধান্ত নেবেন, সেদিকেই নজর সকলের।