করোনার হানা সামাল দেওয়ার মধ্যেই শনিবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চিনের পূর্ব প্রদেশের ঝেজিয়াংয়ের ওয়েললিং শহর। জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১১৭ জন। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি তেল ট্যাংকার থেকেই ঘটেছে এই বিস্ফোরণ।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় চিন সরকার জানিয়েছে, বিস্ফোরণের অভিঘাতে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি অঞ্চলে হাইওয়ের ধারে কয়েকটি কারখানা ছিল। বিস্ফোরণের অভিঘাতে সেগুলিও গুঁড়িয়ে যায়। গোটা চত্বর ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়।
সেখানকার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ট্যাংকার বিস্ফোরণের পর আগুনের এক-একটা বিশালাকার গোলা বিকট শব্দে ফেটে উপরে উঠতে থাকে। আকাশ ঢেকে ফেলে ঘন কালো ধোঁয়ায়। লোকজন ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাতে থাকে।
#SusantSinghRajput#isnomore#whywhywhy💔 pic.twitter.com/yXbJxqh88u
— aamarsakal.com (@aamarsakal) June 14, 2020
ভিডিয়ো ক্লিপিংয়ে আরও দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর একটা বড় টুকরো উড়ে গিয়ে আশপাশের বাড়ির সামনে পড়ছে। বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি থাকা একাধিক ট্রাকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত ট্যাংকার বিস্ফোরণে ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন ১১৭ জন।
ভেঙে পড়া বাড়িগুলির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন জানিয়েছে চিনা প্রশাসন। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকারী কয়েকটি দল সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে চিনের একটি সরকারি তথ্য চোখ রাখলে চমকে উঠতে হয়। শুধু ২০১৫ সালেই চিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জেরে দুর্ঘটনা সেদেশে লেগেই থাকে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী চিনের সড়ক দুর্ঘটনার ৯০ শতাংশই ট্রাফিক আইন না মানার ফলে ঘটে।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরেই চিনের জিংসু প্রদেশে একটি যাত্রী বোঝাই বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। একমুখী একটি রাস্তায় বিপরীত লেনে ঢুকে পড়েছিল বাসটি। তীব্র গতিতে আসা ট্রাকের ধাক্কায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মৃত্যু হয়েছিল বাসের ৩৬ যাত্রীর।