কাশ্মীর উপত্যকায় কি যুদ্ধের হাওয়া, সরকারি নির্দেশিকা জুড়ে গুঞ্জন।

আজ কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল প্রশাসক জিসি মুর্মুর অফিস থেকে প্রকাশিত ওই নির্দেশিকারয় বলা হয়েছে, আগামী দু’মাসের জন্য যেন রান্নার গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডার মজুত করে রাখেন উপত্যকার বাসিন্দারা। শুধু বাসিন্দারা নন, তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকেও কাশ্মীরের গুদামে আগামী দু’মাসের জন্য পর্যাপ্ত এলপিজি সিলিন্ডার মজুত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কার্গিল সীমান্তের গান্ডারওয়াল এলাকায় ১৬টি স্কুল-কলেজ নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহারের জন্য খালি করতে হবে। এই জোড়া নির্দেশের ফলে অনেকেরই আশঙ্কা, ভারত-চিন যুদ্ধ হতে পারে। সে জন্যই এই প্রস্তুতি। অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই কাশ্মীরবাসী বড় ধরনের সংঘাতের প্রমাদই গুনছেন এই অশান্ত আবহে। আর তার জেরেই যুদ্ধের গুজবও ছড়িয়েছে গত কয়েক দিন ধরে। যদিও আজ সরকারের তরফেই স্পষ্ট করা হয়েছে এই নির্দেশিকার কারণ ও উদ্দেশ্য। সরকারি তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, গ্যাস মজুত করার ওই নির্দেশিকায় কারণ হিসেবে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে ভূমিধসের কথা। যখন তখন ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হলে যাতে কেউ সমস্যায় না পড়েন, সে জন্যই এই সতর্কতা। পাশাপাশি বলা হয়েছে, অমরনাথ যাত্রা আসছে, সে জন্যই গান্ডারওয়াল এলাকার স্কুলগুলি খালি করতে বলা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের থাকার জন্য। এর সঙ্গে যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন