ভবানীপুরের মাধব চ্যাটার্জি লেনের ফ্ল্যাটে ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে ঘরবন্দী ছিলেন দিদি।

পার্কস্ট্রিটের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার ভবানীপুরে। ভাইয়ের মৃতদেহকে আগলে একই ফ্ল্যাটে ঘরবন্দী ছিলেন দিদি। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের মাধব চ্যাটার্জি লেনের এক ফ্ল্যাটে কয়েকদিন আগে মৃত এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম শান্তনু দে। মৃতের দিদি মহাশ্বেতা দে ভাইয়ের দেহ আগলে ঘরবন্দি ছিলেন। আজ স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে উদ্ধার হয় বিকৃত মৃতদেহ।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। কিন্তু ওই আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা ফ্ল্যাটে ঢুকতে চাইলেও মহাশ্বেতা দেবী তাঁদের ঢুকতে দিতেন না বলে তাঁদের দাবি। কিন্তু ওই ফ্ল্যাট থেকে ক্রমাগত দুর্গন্ধ বের হওয়ায় একপ্রকার জোর করেই প্রতিবেশীরা ভিতরে ঢোকেন এবং শান্তুনু বাবুর বিকৃত দেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। উল্লেখ্য, দিদি এবং ভাই কেউই কোনও উপার্জন করতেন না, তাই লকডাউনের সময় স্থানীয় কাউন্সিলর খাবারদাবার পাঠিয়েছেন বলে জোর করে ঘরে ঢোকেন স্থানীরা। এরপরই উদ্ধার হয় কয়েকদিনের পুরনো মৃতদেহ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে স্নায়ু রোগের সমস্যায় ভুগছিলেন শান্তনু দে। এর থেকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

২০১৫ সালে একই ঘটনা ঘটেছিল পার্কস্ট্রীটের রবীনসনস্ট্রীটে। ওই বছরের জুন মাসে রবীনসনস্ট্রীটের এক বাড়ির শৌচাগার থেকে এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তির ছেলে পার্থ দে তাঁর দিদির কঙ্কাল আগলে রেখেছেন। এমনকি দিদির কঙ্কালকে খাবরও দেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন