নিজস্ব সংবাদদাতা: একের পর এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন চিন।করোনাভাইরাস মহামারী চিনে। মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। এরই মধ্যেই শনিবার সন্ধেয় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল চিনের কোয়ানঝাউ শহরের পাঁচতলা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। ধ্বংসস্তূপের নীচে অন্তত ৭০ জনের আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে পদে পদে বাধার মুখে পড়ছেন উদ্ধারকারীরা। হোটেলের মালিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, পাঁচতলা ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংস্কারের কাজ চলছিল। সেইসময় একটি পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরই বিল্ডিংটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যের খানিক পর হঠাৎই ভেঙে পড়ে পাঁচতলা ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রশাসনিক কর্তারা। সিমেন্টের চাঙড় সরিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৪৭টি ইঞ্জিন। পৌঁছয় উদ্ধারকারী দলও। এখনও অবধি ৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। দক্ষিণ পূর্ব চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের কোয়ানঝাউ এলাকার জিংজিয়া এক্সপ্রেস হোটেলটিকে কোয়ারেনন্টাইন সেন্টারে পরিণতি করা হয়েছিল। সেখানে ওই প্রদেশের করোনা আক্রান্তদের রাখা হয়েছিল। সেখানেই আচমকা দুর্ঘটনা।
শনিবার সন্ধে থেকে উদ্ধারকাজ চলছে। চিনা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উন্নতমানের যন্ত্র ব্যবহার করে প্রায় ১০০০জন কর্মী কাজ করছেন। এখনও পর্যন্ত ৭ জন মারা গিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই মত উদ্ধারকারীদের। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছিল। ২০১৮ সাল থেকে এটিকে হোটেল হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই বিল্ডিংটি কার্যত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৫৮ জনকে এখানে রাখা হয়েছিল। এর পাশাপাশি হোটেলের ১৬জন কর্মী ও ৬ জন গাড়ির ডিলার ছিলেন। এদিকে দিন কয়েক ধরে বাড়িটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। শনিবার সেই কাজ চলার সময় একটি পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।তারপরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।