ভবঘুরের পাশে দাঁড়িয়ে নজির গড়লেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ।

মহিষাদলঃ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। আর সেই কারনেই বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। দোকানপাট বন্ধ থাকার কারনে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো ভবঘুরেরা খাবার না পেয়ে খিদের যন্ত্রণায় ভুগছিলো। এমন এক দৃশ্য দেখতে পেলো মহিষাদল থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় ঘোড়াই ও গণেশ ঘোড়াই। গত কয়েকদিন ধরে কোন খাবার না পেয়ে মহিষাদল থানার বকুতলা মোড়ের কাছে এক মাঝ বয়সী যুবক খিদের জ্বালায় ছটপট করছিলো। আর তা দেখেই সিভিক ভলান্টিয়ার বাড়িতে গিয়ে টিফিন কৌটাতে করে সবজি ও মাছ ভাত নিয়ে এসে নিজেদের হাতে খাইয়ে দেয় তারা। তাদের এই ধরনের মানসিকতার কুর্নিশ জানাচ্ছে স্থানিয় মানুষজন। সঞ্জয় ও গণেশ ২০১৩ সাল থেকে মহিষাদল থানার আন্ডারে সিভিক ভলান্টিয়ার এর কাজ শুরু করে। সঞ্জয়ের বাড়ি চকদ্বাড়িবেড়িয়ায় এবং গণেশের বাড়ি বকুলতলায়। প্রতিদিনের মতো আজও দুজনের ডিউটি পড়েছিলো মাগুড়িয়ায়। ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বকুলতলা মোড়ের কাছে রাস্তার ধারে এক মাঝ বয়সী যুবককে দেখতে পায় খিদের জ্বালায় ছটপট করছে। তা দেখে বাড়ি গিয়ে তার জন্য দুপুরের আহার নিয়ে এসে খাওয়া্য। আগামী দিনগুলিতেও একই ভাবে রাত ও দিনের খাওয়ার দেওয়ার কথা জানায় দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় ও গণেশ ঘোড়াই। রাজ্যজুড়ে লকডাউন ঘোষনা হওয়ার করনেই অনেক ভবঘুরে খাওয়ার না পেয়ে খিদের জ্বালায় ছটপট করছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে দেখা যাচ্ছে অনেক পুলিশ,জনপ্রতিনিধিরা তাদের পাশে থেকে তাদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। তবে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের এই চিন্তাভাবনা আগামীদিনে অনেককে এগিয়ে আসার পথ দেখাবে বলে মনে করা হচ্ছে।মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ধরে সাধারণ মানুষ থেকে ভবঘুরেদের পাশে থাকার কথা বলেছেন। সেই মতো আমার থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার যে কাজ করেছে তাতে আমি ভীষণ খুশি।তাদের এই মানসিকতার জন্য তাদের যাতে সম্মানিত করা যায় তার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করবো।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন