আমার সকাল: বুলেট-প্রুফ বাংলোয় ISI-এর নিরাপদ আশ্রয়ে আছে মাসুদ আজাহার, পাক সরকারের দাবি উড়ালো ভারতীয় গোয়েন্দারা

নিজস্ব সংবাদদাতা: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে কোনঠাসা পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বারবার বলে আসছেন যে তাঁর দেশ কোনভাবেই সন্ত্রাসের সাথে আপোশ করে না। তার নয়াদিল্লি তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে বিশ্বের কাছে মিথ্যে বলছেন ইমরান। পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর।এবার ফের একবার সন্ত্রাসের মদত দেওয়া অভিযোগ উঠল পাক সরকারের বিরুদ্ধেই। রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চ থেকে আন্তজার্তিক জঙ্গির তকমা পেয়েছে মাসুদ আজাহার। আর তাঁকেই বহাল তবিয়তে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে ইমরান সরকার। এ্মনটাই খবর গোয়েন্দাদের কাছে।শুধু তাই নয়, মাসুদ আজহারের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ভারতে নতুন করে নাশকতার ছক কষছে পাকিস্তান।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই রিপোর্টই জমা দিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। সন্ত্রাসবাদের আর্থিক মদতদাতাদের উপর কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা FATA-র তরফে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস এই বিষয়ে একটি সম্মেলনে হতে চলেছে। তার ঠিক আগে পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছিল জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু, এই কথা সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তরফে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানিয়েছে যে পাকিস্তান যা বলছে তা সঠিক নয়।

কারণ সেদেশেই সুরক্ষিতই আছে জইশ-মাথা মৌলানা মাসুদ আজহার। তার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। গোপনে জঙ্গি প্রশিক্ষণও দিয়ে চলছেন তিনি। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের ছাতার তলায় পাকিস্তানের বহাওয়ালপুরের বিলাসবহুল ‘মারকাজ-ই উসমান-ও-আলি’তে বহাল তবিয়তে আছে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ তকমা পাওয়া মাসুদ আজহার। এই বাংলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অতি মজবুত। যে কোনও বিস্ফোরকের ধাক্কা সামলাতে পারবে এই বাংলো।

প্যারিস বৈঠকের আগে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে  ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। সূত্রের দাবি, মাসুদ আজহার ও তার পরিবার নিখোঁজ নয়। প্যারিসে FATF-এর সম্মেলনের প্রাক্কালে তাদের একটি নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। বাহাওয়ালপুরের একটি নিরাপদ আশ্রয়ে তাদের রাখা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের দাবি, বর্তমানে জইশের নয়া হেডকোয়ার্টার যেখানে রয়েছে, সেই মারকাজ উসমান ও আলিতে রাখা হয়েছে মাসুদকে। বাহওয়ালপুর-করাচি রোডে জইশের হেডকোয়ার্টারে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আছে মাসুদ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় ২০ বছর আগে কান্দাহারে একটি ছিনতাই হওয়া ভারতীয় বিমানের যাত্রীদের জীবনের বিনিময়ে মাসুদ আজহারকে কাশ্মীরের জেল থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত। তারপর পাকিস্তানে গিয়ে মাসুদ আজহার জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে ভারতে বহু জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছে সে। যার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর হওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনা। আত্মঘাতী ওই হামলার ফলে শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। যার বদলা নিতে পাকিস্তানের বালাকোটের জইশ ক্যাম্পে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা।

আমার সকাল : ২৬/১১ হামলার মূলচক্রী হাফিজকে এবার সাড়ে পাঁচ বছরের জেল, আদেশপাক আদালতের

শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মহলে চাপ সৃষ্টি করে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণাও করানো হয়। কিন্তু পাকিস্তান যে মাসুদ আজাহারকে নিজেদের নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে সেই খবর এবার বিশ্বের মঞ্চে তুলে ধরতে চায় নয়াদিল্লি। যাতে প্রমাণ হয় যে ইমরানের দেশ সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বারবার যে কথা বলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেন্দ্রের সরকার সাফ কথা, পাক সরকারের যদি মদত না থাকতো তাহলে আর্ন্তজাতিক তকমা পাওয়া জঙ্গি কি করে বহাল তবিয়তে নিজের ডেরায় সেদেশে থাকতে পারে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন