আমার সকাল: ১০০ মিটার দৌড় ৯.৫৫ সেকেন্ডে! মহিষ দৌড়েই উইসেন বোল্টের রেকর্ড ভাঙলেন 'কন্নড়ের যুবক'

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের দ্রুততম মানুষের নাম উসেইন বোল্ট। কারণ, হিসাবে উঠে আসে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের থেকেও দৌড়ের ট্র্যাকে বোল্টের গতি বেশি। তাই তিনি পৃথিবীর দ্রুততম ব্যাক্তি হিসাবে নিজের নাম সবার উপরেই রেখেছিলেন। কিন্তু এবার নাকি সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। বোল্টের থেকেও দ্রুত দৌড়ানো মানুষকে পাওয়া গেল এই ভারতেই। নেপথ্যে কর্নাটকের দক্ষিন কন্নড়ের এক যুবক। তবে তিনি যে দৌড়ে উইসেন বোল্টের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তা তিনি নিজেও জানেন না। এমনকি বিশ্বের দ্রুততম মানুষটিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন খবর নেন নি।

একশো মিটার দূরত্বের স্প্রিন্টে বিশ্বের দ্রুততম ব্যক্তি উইসেন বোল্টের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কর্ণাটকের যুবক। এই খবর সোশ্যাল মিডিযায় ছড়িয়ে পড়তেই অনেকেই বলতে শুরু করেছেন তাহলে অবশেষে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তিকে পিছনে ফেলে দিল ভারতের যুবকই। এটা সত্যি গর্বের ব্যাপার। তবে ঠিক বিষয়টি কি সেই বিষয়ে খোঁজ করতে নিতে গিয়ে জানা গিয়েছে, কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার  বাসিন্দা শ্রীনিবাস গৌড়া, তিনি ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছেন ৯.৫৫ সেকেন্ডে। যা বোল্টের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে জার্মানির বার্লিনে হওয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ড ১০০ মিটারের স্প্রিন্ট শেষ করেছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী বোল্ট।

সেই রেকর্ড এখনও অক্ষত ছিল বিশ্ববাসীর কাছে। কিন্তু এবার সম্ভবত সেই রেকর্ড ভেঙে দিল কর্ণাটকের যুবক। কিন্তু এই অসাধ্য কাজ কি করে করলেন শ্রীনিবাস? জানা গিয়েছে, কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় হচ্ছিল ঐতিহ্যমণ্ডিত কাম্বালা বা মহিষ দৌড় প্রতিযোগিতা। সেখানেই দৌড়চ্ছিল একাধিক মহিষ।

 

খেলার নিয়ম অনুযায়ী, কাদাভরা মাঠে ছুটতে হয় মহিষদের। আর তাদের গতিমুখ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মহিষের সঙ্গে দৌড়তে হয় মলিককেও। শ্রীনিবাস তাঁর পোষা মহিষকে নিয়ে সেই প্রতিযোগিতাতেই অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আর সেখানেই পোষা দুই মহিষের সঙ্গে তিনি দৌড়েছেন ১৪২.৫ মিটার পথ। কাদাজলে ভরা ওই পথ দৌড়ে পেরোতে তিনি মাত্র ১৩.৬২ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন বলে  দাবি করা হয়েছে!

 

প্রথম একশো মিটার অতিক্রম করতে ২৮ বছরের শ্রীনিবাসের লেগেছে ৯.৫৫ সেকেন্ড। আর সেই কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন,  ডিপি সতীশ নামের এক ব্যাক্তি। সেই ছবির ক্যাপশনে উসেইন বোল্টের সঙ্গে শ্রীনিবাসের দৌড়ের সময়ের তুলনা করেছেন তিনি। তা দেখেই তাজ্জব বনে গিয়েছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোন তথ্য এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। যদি সত্যি বোল্টের রেকর্ড ভেঙে বিশ্ববাসীর কাছে দ্রুততম মানুষ হিসাবে শ্রীনিবাসনের নাম উঠে আসে তাহলে তা নিঃসন্দেহে স্প্রিন্টের দুনিয়ায় নতুন ইতিহাস তৈরী করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন