নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের কাছে এখন ত্রাস করোনা ভাইরাস। উৎসস্থল চীন কার্যত পৃথিবীর মানচিত্রের বাইরে চলে যাওয়ার অবস্থায়। একাধিক রাষ্ট্র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে চীনের সাথে। শুধু চীন নয় বিশ্বের ২৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। মারাত্মক এই ভাইরাসের হাত থেকে কিভাবে বাঁচানো যাবে বিশ্ববাসীকে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা বিজ্ঞানীদের। সঠিক কোন চিকিৎসা আছে কিনা সেই বিষয়ে কোন সদুত্তর নেই কোন দেশের কাছে। তবু হাল ছাড়তে নারাজ বিজ্ঞানীরা।তবে আতঙ্কের মধ্যেই এবার করোনাভাইরাসের টিকা দ্রুত বাজারে আসার সম্ভাবনা জোরালো করে তুললেন এক ভারতীয় ভাইরোলজিস্ট। অধ্যাপক এস এস ভাসিন।
চিনের বাইরে গবেষণাগারে প্রথম করোনাভাইরাস তৈরি করেছে যে গবেষকদল, তার নেতৃত্বে রয়েছেন ভাসিন। এই করোনাভাইরাস কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যাতে মানুষের উপর পরীক্ষার আগে টিকা তৈরির জন্য ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণার (প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডিজ) পর্যাপ্ত সুযোগ পাওয়া যায়। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস দ্রুত তার রূপ বদলে নেয়। তাদের পরিবারের সদস্যও অনেক। তাদের অনেকটা একই রকম দেখতে। কিন্তু তারা অবিকল একই রকমের নয়।
আমার সকাল : করোনা আতঙ্কের জেরে বন্ধ বিশ্বের সব থেকে বড় গাড়ি কারখানার উৎপাদন
তাদের আচার, আচরণও আলাদা।চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। করোনার বলি ঠিক কত? ৬৩৪ না ২৫ হাজার? ক্রমেই বাড়ছে ধন্দ। কারণ চিনেরই একটি সংস্থার রিপোর্ট। টেনসেন্ট নামে ওই সংস্থার রিপোর্ট বলছে, নোভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪,৫৮৯ জনের। অথচ বেজিং সরকার দাবি করছে, সংখ্যাটা মাত্র ৬৩৪। আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবেও বিস্তর ফারাক। টেনসেন্ট বলছে, সংক্রমিত অন্তত দেড় লক্ষ। তাইওয়ানের এক সংস্থার কথায়, অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও আসল মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করে ফেলেছে টেনসেন্ট।