আমার সকাল: মৃত্যুমিছিল চীনে, ২৪ ঘন্টায় মৃত ৮৬! করোনার থাবায় দিশেহারা গোটা দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের কাছে এখন ত্রাস করোনা ভাইরাস। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে প্রায় বাদ যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে ভাইরাসের উৎসস্থল চীনের। কারণ, একাধিক রাষ্ট্রের তরফে চীনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বিশ্বজুড়ে জরুরী অবস্থা জারি করেছে ‘হু’। ২৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। গোটা চীনেই মহামারীর আকার নিয়েছে করোনা সংক্রমণ।হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও থামছে না মৃত্যুমিছিল। রোজ লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ।

চিন সরকার জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২২। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯৯ জনের মধ্যে। ফলে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪ হাজার ৫৪৬ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। করোনা ভাইরাসের কারণে কিছু দেশ চিনা পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা সৃষ্টিতে বাড়াবাড়ি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ দিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডা. লি ওয়েনলিয়াঙের মৃত্যু হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে অনলাইনে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন চিনা জনগণ। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনিই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাঁর হাসপাতালে ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ থাকা একগুচ্ছ রোগীর চিকিৎসা চলছে। এর পরই পুলিশের রোষে পড়েন তিনি। চিনের সেই চিকিৎসক, ৩৪ বছরের লি ওয়েনলিয়াং শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণেই।

আমার সকাল: বিশ্বের কাছে আশার আলো, অনাবাসী ভারতীয় হাত ধরেই মিলতে পারে করোনা ভাইরাসের টিকা

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে উহানের ওই চিকিৎসকই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাঁর হাসপাতালে ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ থাকা একগুচ্ছ রোগীর চিকিৎসা চলছে। এর পরই পুলিশের রোষে পড়েন তিনি। চিনের সেই চিকিৎসক, ৩৪ বছরের লি ওয়েনলিয়াং শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন