নিজস্ব সংবাদদাতা: ডাক্তারের পরে সাংবাদিক। করোনাভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বকে প্রথমবার সতর্ক করেছিলেন যে ডাক্তার, তিনি মারা গিয়েছেন কিছুদিন আগে। এবার ওই মহামারী নিয়ে বাইরের দুনিয়াকে জানাতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন সাংবাদিক।চিনে করোনা ভাইরাসের কামড়ের কথা সর্বপ্রথম তাঁরাই জানিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে। তাঁদের প্রতিবেদনে সকলে জানতে পারছিলেন চিনের করোনা পরিস্থিতি।
কাজটা কঠিন হলেও সংক্রমণ, বিপদের ভয় তুচ্ছ করে পালন করে চলেছিলেন যথার্থ সাংবাদিকের কর্তব্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন খবর, ভিডিও। চিনের সেই দুই সাংবাদিক এবার নিখোঁজ হয়ে গেলেন। কারণ অনুমান করে দেওয়া অসুবিধাজনক নয় মোটেও। ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ। শহরের মধ্যে ঠিক কী ঘটছে, সারা বিশ্বকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানাচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। তাঁরা হলেন চেন কুইশি এবং ফ্যাং বিন। তাঁদের মধ্যে চেন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন।
চেন ও ফ্যাংকে বলা হচ্ছিল ‘সিটিজেন জার্নালিস্ট’। অর্থাৎ তাঁরা কোনও সংবাদ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই বাইরের জগতকে জানাচ্ছিলেন, মহামারীতে আক্রান্ত উহান শহরের অবস্থা এখন কীরকম। মোবাইলে নানা জায়গার ভিডিও ক্লিপ তুলে পোস্ট করছিলেন টুইটারে ও ইউ টিউবে। গত ২০ ঘণ্টার বেশি চেনের সঙ্গে যোগযোগ করা যাচ্ছে না।
ফ্যাংও মাঝে চুপ করে গিয়েছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার তিনি ফের ভিডিও পোস্ট করেন। শোনা যায়, তিনি হাসপাতালে মৃতদেহের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন। শহর প্রশাসন তাঁকে আটকে রাখে।পরিবারের সন্দেহ, প্রকৃত খবর সরবরাহ করার জন্যই চেনের উপর ক্ষোভবশত তাঁকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। ছেলেকে ফিরে পেতে মরিয়া মা।
আমার সকাল : ”যত দ্রুত সম্ভব আমাদের বাঁচান, এরপরে উদ্ধার করে কী লাভ”!প্রধানমন্ত্রী কাছে আবেদন বিনয়ের
এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং তাতে নজরদারির ক্ষেত্রে চিন অত্যন্ত কড়া। চুপিসাড়ে দেশবাসীর উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখে। সেখানে উইবু, উইচ্যাটের মতো পৃথক সোশ্যাল মিডিয়া আছে। সাধারণ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায় না। কারও প্রতি কোনও সন্দেহ হলে, তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট আপাতভাবে বন্ধ করে দেওয়ারও নজির আছে।