নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কার্যত স্তব্ধ গোটা চিন। এক এক করে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে চিনে গতকাল পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩০জনে বেশি। আর আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ হাজারের বেশি। গত সপ্তাহে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে এক চিনা ব্যক্তির শরীরে। তাঁকে প্রশাসনের সহ যোগিতায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালের আইসোলেশনে। আর বাড়িতে একা থেকে চাই ওই ব্যক্তির সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত ১৭ বছরের একমাত্র সন্তান। যাকে দেখা শোনার করার মতো কোনো লোক ছিল না। কার্যত না খেতে পেয়ে অবশেষে মারা যায় ইয়ান চেং নামে ওই কিশোর।
ইয়ান চেং-য়ের মা মারা গিয়েছে কয়েক বছর আগে। বাবা ও ভাইয়ের সাথে থাকত ইয়ান। বড় ছেলে ইয়ানকে দেখা সোনা করত ১১ বছরের ছোট ছেলে ও বাবা। জানা গিয়েছে, হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারত না ইয়ান চেং। হুইলচেয়ারও নিজে চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল না তার। কথা বলতে পারত না, নিজে হাতে খেতে পারত না। একা ঘরে ছয় দিন আটকে থেকে অবশেষে মৃত্যু হল তার।
ইয়ানের বাবা জিয়াওয়েন ও তাঁর ছোট ছেলেকে গত ২২ জানুয়ারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে আইসোলেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক চেষ্টা করেও কোনও ভাবে ক্যাম্প থেকে বেরোতে পারেননি তিনি।