নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বজুড়ে কার্যত মহামারির আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। রোগের সংক্রমণ কেন্দ্র চিনেই এপর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬১ জন। চিন ছাড়িয়ে আরও ২৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এই প্রথম সম্প্রতি চিনের বাইরে ফিলিপিন্সে এক আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। মারণ ভাইরাস করোনার ভয়াবহতার দৃশ্য দেখে বিশ্বজুড়ে জরুরী অবস্থা জারি করেছে হু। কিন্তু ভয়াবহ এই মারণ রোগের সুরাহা কি? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উচ্চপর্যায়ের গবেষনা করতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। করোনার হাত থেকে কি করে বিশ্ববাসীকে বাঁচানো যাবে সেই উত্তর এখন পুরোপুরি কেউ দিতে পারে নি। এর মধ্যেই আশার কথা শোনালো থাইল্যান্ড।
এইচআইভি আর জ্বরের অ্যান্টি-ভাইরাস নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে তৈরি হয়েছে এক নতুন ওষুধ। আর সেই ওষুধেই কাবু হয়েছে করোনাভাইরাস! সম্প্রতি এমনই দাবি করল থাইল্যান্ড। এই নতুন অ্যান্টি-ভাইরাসের প্রয়োগে মাত্র ৪৮ ঘণ্টাতেই এক রোগী সুস্থও হয়ে উঠেছেন বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের এক চিকিৎসক। তবে বিষয়টা এখনও গবেষণার পর্যায়েই রয়েছে। তাই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের উপর এখনই প্রয়োগ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
থাইল্যান্ডের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, HIV এবং সাধারণ সর্দির সারানোর ওষুধের ককটেলই করোনার অব্যর্থ দাওয়াই। থাইল্যান্ডের ব্যংককের রাজাভীতি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শারীরিক অবস্থার বিশাল পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ইউহান প্রদেশে এক ৭০ বছরের মহিলার দেহে করোনার জীবাণু মিলেছিল।
আমার সকাল : করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে চিনে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৬১
তিনি ব্যংককের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই ককটেল ওষুধটি খাওয়াতেই ১০দিনের মধ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ওই চিকিৎসকেরা। তবে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রকর্তারা বলছেন, সত্যি যদি থাইল্যান্ডের ওই চিকিৎসকের কথা মতো করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ আবিষ্কার করা গিয়ে থাকে তাহলে এই কঠিন সময়ে বিশ্ববাসির কাছে তা নিঃসন্দেহে খুশীর খবর বহন করবে।