আমার সকাল: এশিয়ার বাইরে ফ্রান্সে 'করোনার থাবায়' মৃত ১, ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে ইউরোপেও

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের কাছে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ‘করোনা ভাইরাস’। ভয়াবহ এই ভাইরাসের উৎস্থল হিসাবে চিহ্নিত গোটা চীন কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিশ্বের সাথে। একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে চীনের সাথে তাদের সম্পর্কে ছেদ ধরিয়েছে।শুধু চীনেই করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫০০ জনের। ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। শুধু চীন নয় বিশ্বের মোট ২৪টি দেশে ক্রমেই থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস ‘করোনা’।পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বিশ্বজুড়ে জরুরী অবস্থা জারি করেছে ‘হু’।

এমনকি একাধিক দেশকে করোনা মোকাবিলার জন্য সর্তকও করা হয়েছে হু-র তরফে। তবে এবার এশিয়ার বাইরেও থাবা বসিয়ে দিল করোনা ভাইরাস। ফ্রান্সে মৃত্যু হল বছর বিরাশির এক চিনা পর্যটকের। নোভেল করোনা ভাইরাসই তাঁর প্রাণ কেড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। এখনও ৬ জন করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁদের কারও অবস্থাই সংকটজনক নয় বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।তিনি জানিয়েছেন, হুবেই থেকে ফ্রান্সে বেড়াতে এসেছিলেন ওই চিনা পর্যটক। করোনাভাইরাসের আঁতুরঘরই হল এই হুবেই প্রদেশ। গত  ২৫ জানুয়ারি থেকে প্যারিসের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। নিউমোনিয়ার উপসর্গ ছিল।

পরে জানা যায় তিনি নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ওই পর্যটকের মেয়েও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাঁকে এখন আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া অবধি তাঁকে ওয়ার্ডের বাইরে বেরতে দেওয়া হবে না। এর আগে চিনের বাইরে করোনা ভাইরাসের ছোবল মোট তিন জনের প্রাণ কেড়েছে। হংকং, ফিলিপিন্স এবং সম্প্রতি জাপানের মৃত্যু হয়েছে তিন ব্যক্তির।

আমার সকাল : ”যে কোনও সময় করোনা আক্রান্ত হতে পারি, আমাদের বাঁচান”,সরকারের কাছে আর্জি ভারতীয় মহিলা অফিসারের

চিন থেকে ইউরোপের কয়েকটি দেশে করোনা সংক্রমণ হয়েছিল আগেই। তবে সংখ্যায় তা অতি সামান্য। চিনের বাইরে বিশ্বজুড়ে যে ৬০০ জনের দেহে করোনার জীবাণু মিলেছে, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন ইউরোপীয় দেশের নাগরিক। তবে ফ্রান্সে এই চিনা পর্যটকের মৃত্যু এশিয়ার বাইরে প্রথম করোনার বলি।আর করোনা ভাইরাসের থাবায় পর্যটকের এই মৃত্যুর পরেই আরো সর্তক হয়েছে ফ্রান্স প্রশাসন।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন