আমার সকাল: চীন যেন পৃথিবীর বাইরে! করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে জরুরী অবস্থা জারি করল 'হু'

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের কাছে আতঙ্কের আরেক নাম করোনা ভাইরাস। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে কার্যত বাদ পরার জোগাড় চীনের। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা এতটাই বেড়েছে যে শুধু চীনেই মারা গিয়েছেন ২১৩ জন। সেদেশের একের পর প্রদেশ বিচ্ছিন হয়ে পড়েছে।  গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০০০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে ক্রমশ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে এই ভাইরাস। চিনের এই অবস্থা দেখে গোটা বিশ্ব ভীত ,সন্ত্রস্ত। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড, জাপান, এমনকি ভারতের প্রতিবশী নেপাল, শ্রীলঙ্কাতেও থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস।  চীনা নাগরিক ছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০০ জন নাগরিকের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের নমুনা। অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাওয়ায় শুক্রবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা  (WHO)-এর তরফ থেকে গোটা বিশ্ব জুড়ে জারি করা হল সতর্কতা।

কারণ এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও প্রতিষেধকের সন্ধান মেলেনি। অসুস্থদের চিকিৎসা এবং এই ভাইরাসের ব্যাপ্তি কমাতে এবার এগিয়ে এল ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগ্যানাইজেসন । চীনে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।চিনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। সর্দি, কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হতে থাকেন একের পর এক মানুষ। ক্রমশ মহামারির আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত মোট ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৯২ জন। হু’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৮টি দেশে ১০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।

আমার সকাল : কারোনাভাইরাস! ৩২৫ জন ভারতীয়দের ফিরাতে চিনে পাড়ি দিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, সে তালিকায় ভারতও রয়েছে। হু-এর সমীক্ষা বলছে, ঝুঁকির তালিকায় যে দেশগুলি রয়েছে, তার মধ্যে প্রথম নামটি হল থাইল্যান্ড। এরপরেই আছে জাপান এবং হংকং। আমেরিকা আছে ৬ নম্বরে, অস্ট্রেলিয়া ১০ নম্বরে, ইংল্যান্ড ১৭ নম্বরে এবং ভারত ২৩ নম্বরে। তাই দিন দিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বজুড়ে জরুরী অবস্থার সিদ্ধান্ত নিল হু। ভারতেও আতঙ্কও ক্রমেই বাড়ছে। কারণ, উহান থেকে ফেরা কেরলের এক ছাত্রের শরীরে  মিলেছে ওই মারাত্মক ভাইরাসের নমুনা। কাল থেকে বন্ধ হচ্ছে ভারত-চিন বিমান পরিষেবা। ভারতে যাতে ওই মারণ রোগ কোনোভাবেই ছড়িয়ে পড়তে না পারে তারজন্য সমস্ত জরুরি ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন