নিজস্ব প্রতিনিধি : দুই মন্ত্রীর সফর বাতিল করেছিলেন আগেই। এ বার ভারতের উপর আরও চাপ বাড়াল বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে দূতাবাস এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলল হাসিনা সরকার।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের(সিএবি) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল অসম। সেই বিক্ষোভে আক্রান্ত হয় বাংলাদেশ দূতাবাসও। গুয়াহাটিতে দূতাবাসের সামনে দু’টি সাইনবোর্ডে কালি লেপে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এমনকি বিমানবন্দর থেকে বেরনোর পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার শাহ মহম্মদ তনভির মাসুরও।
তাতেই নড়েচড়ে বসে ঢাকা। ওই রাতেই সেখানে ভারতের হাই কমিশনার রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাসকে ডেকে পাঠান সে দেশের ভারপ্রাপ্ত বিদেশ সচিব কামরুল আহসান। গোটা ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। সেই বৈঠকের পরে বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ‘‘গুয়াহাটিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনারের কনভয়ে হামলা এবং দূতাবাসের সামনে সাইবোর্ডে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কামরুল আহসান। সেখানে নিযুক্ত কূটনীতিক এবং দূতাবাসের সম্পত্তির নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন।’’
ভারতের তরফে বাংলাদেশ সরকারকে সঙ্গে সঙ্গেই আশ্বস্ত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। রিভা গঙ্গোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘দূতাবাস চত্বর, হাইকমিশনের বাসভবন, সেখানে কর্মরত আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা বাড়াতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় হাই কমিশনার।” দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে, ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা ঘটবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছে সে দেশের সরকার।
তবে গতকাল সে দেশের দুই মন্ত্রী, আসাদুজ্জামান খান এবং একে আবদুল মোমেনের ভারত সফর বাতিলের পরই বাংলাদেশের তরফে এমন বার্তায় ভারতের পক্ষে অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়ল বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
https://aamarsakal.com/2019/12/13/aamar-sokaldecember-19-shinzo-can-cancel-india-tour-after-bangladesh/