নিজস্ব প্রতিনিধি : ফের এক খ্রিস্টান মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরণ করে বিয়ের অভিযোগ উঠল ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের করাচির জিয়া কলোনির এক খিস্টান পরিবারের অভিযোগ করেছে। জানা গিয়েছে, এক মুসলিম ছেলে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছে।
ওই তরুণীর নাম হুমা ইউনুস (১৪)। আর ওই যুবকের নাম অভিযুক্ত আব্দুল জাব্বার। গত ১০ অক্টোবর জিয়া কলোনি থেকে ১৪ বছরের হুমা ইউনুসকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। সূত্রের খবর, অষ্টম শ্রেণীতে পড়া হুমাকে ডেরা গাজি খানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করে তাঁকে বিয়ে করার সমস্ত কাগজপত্র তাঁর মা বাবার কাছে পাঠিয়েও দিয়েছে অভিযুক্ত। যদিও ওই সার্টিফিকেট ভুয়ো বলেই দাবি নাবালিকার পরিবারের। বর্তমানে এই মামলা আদালতে আছে। পাকিস্তানের সাংবাদিক এই ব্যাপারে ট্যুইটও করেছেন। হুমার মা নাগিনা জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় জড়িত তিন মুসলিম যুবক। অপহরণকারীরা নাকি ফোনে জানিয়েছে, হুমার ধর্মান্তরণ করিয়ে আবদুল জাবার নামে এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Huma Younus, 14-year-old Christian girl from Karachi, kidnapped, forcibly converted to Islam and married off to her abductor Abdul Jabbar. Huma, a class 8 student, was taken to Dera Ghazi Khan and papers of her conversion/marriage were sent to her parents. #endenforcedconversions pic.twitter.com/7NnjJZK7VP
— Naila Inayat (@nailainayat) December 10, 2019
কিশোরীর পরিবারের দাবি, পাকিস্তানে অপহরণ আর ধর্ম পরিবর্তনই কি ভবিষ্যৎ? যদি তাই হয়, তাহলে সংখ্যালঘুদের মাতা-পিতাদের কি তাঁদের কন্যা সন্তানকে মেরে ফেলবে? হুমা ইউনিসের মা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ও তাঁর বিরোধী দলের নেতা বিলাবল ভুট্টো আর সেনা প্রধানের কাছে সাহাজ্যের আর্জি জানিয়েছে।
After a court hearing Huma's mother Nagina Younas asks, should Christian mothers kill their daughters if conversion and kidnapping is their fate in Pakistan? She peads to the PM, Bilawal Bhutto and Army Chief for help. (Video via family's lawyer Tabbasum Yousaf) pic.twitter.com/1r8YelsmTW
— Naila Inayat (@nailainayat) December 10, 2019
ন্যাশনাল কমিশন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস (এনসিজেপি)-র ডিরেক্টর সালেহ দিয়েগো বলেছেন, “এই অপহরণ ও ধর্মান্তরণের আমি বিরোধী। অসহায় পরিবারের পাশে আছি।”