আমার সকাল : ৮০০ লিটারর প্রসাব মুখ দিয়ে বার করে অসুস্থ বৃদ্ধ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন এক ডাক্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি : উড়ন্ত বিমানে প্রায় মরতে-বসা বিমানযাত্রীকে নবজীবন দিয়ে সকলের চোখে ‘হিরো’ হয়ে উঠলেন এক ডাক্তার। ওই অসুস্থ প্রবীণ যাত্রীর মূত্রথলিতে জমে থাকা ৮০০ মিলিলিটার প্রস্রাব তিনি মুখে পাইপ লাগিয়ে বের করেছেন। এই কাজটি তিনি যদি না করতেন, তা হলে ওই যাত্রীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারত।

গত মঙ্গলবার দক্ষিণ পূর্ব চিনের গুয়াংঝাউ থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিল চিনের সাউদার্ন এয়ারওয়েজের সিজেড ৩০০৯ বিমানটি। বিমান তখন মাঝ আকাশে। আমেরিকার নিউ ইয়র্ক পৌঁছতে তখনও ছ’ঘণ্টা বাকি। সে সময় হঠাৎই তলপেটে ব্যথা শুরু হয় ওই যাত্রীর। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে একেবারে কাহিল হয়ে পড়েন তিনি। তা দেখে বিমানকর্মীরা সাহায্যের জন্য সকল যাত্রীদের কাছে আবেদন জানান।
আমেরিকার নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবর অনুযায়ী, ওই বিমানের এক কর্মী লক্ষ্য করেন, ফ্লাইটের এক যাত্রী কুলকুল করে ঘামছেন। ইশারায় তিনি জানাচ্ছেন পেটে অসহ্য যন্ত্রণার কথা। ওই উড়ানেই ছিলেন জিনান ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট অ্যাফিলিয়েটেড হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জারির প্রধান ডাক্তার ঝাং হং। বিমানকর্তৃপক্ষকে তাঁরই দ্বারস্থ হতে হয়। ওই বৃদ্ধের পরিবার ডাক্তারকে জানায়, প্রস্টেট বড় হওয়ায়, শারীরিক সমস্যা ভুগছেন প্রবীণ এই মানুষটি।

ডাক্তার ঝাং হং-এর কথায়, ‘আমি যখন মানুষটিকে দেখি, যন্ত্রণায় কথা বলার মতো অবস্থায় তিনি ছিলেন না। আমার তখন একটাই চিন্তা, কী করে মূত্রথলিতে জমে থাকা প্রস্রাব বাইরে বের করে আনা যায়।’ এরপর ওই ডাক্তার যা করেছেন, তা এককথায়, অকল্পনীয়। ৩৭ মিনিট ধরে ‘সাক’ করে, তিনি বৃদ্ধের মূত্রথলির সমস্ত প্রস্রাব বের করে আনেন। ডাক্তার হিসেবে এতটুকু দ্বিধা করেননি।

আসলে ওই ব্যক্তির প্রস্টেটের সমস্যা ছিল। তাই সে দিন মূত্র জমা হলেও মূত্রত্যাগ করতে পারছিলেন না তিনি। তাই ঝাং ওই কাজটি না করলে মূত্রথলি ফেটে বিপদ আরও বাড়ত। চিকিৎসক ঝাং জানিয়েছেন, এই কাজটি দ্রুততার সঙ্গে না করতে পারলে ওই প্রবীণের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন