আমার সকাল : অমর্ত্য সেন পর ফের অর্থনীতির জন্য আর এক বাঙালি পেল নোবেল

নিজস্ব প্রতিনিধি : ফের নোবেল পুরস্কার পেলেন আর এক বাঙালি। আবারও অর্থনীতিতে। অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেই ২০১৯ সালে অর্থনীতি নোবেল পাচ্ছেন এসথার ডুফলো, মাইকেল কার্মার। অন্য নোবেলজয়ী এস্থার ডাফলো সম্পর্কে তাঁর স্ত্রী।

সোমবার দুপুরে নোবেল কমিটি ঘোষণা করে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বিশ্বজুড়ে দারিদ্র নিয়ে অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পেলেন বাঙালি বিজ্ঞানী।

১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। প্রেসিডেন্সি কলেজেই পড়াশোনা অভিজিতের। আরও এক নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ছাত্র ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্সির জন্য যে মেন্টর গ্র‌ুপ তৈরি করেছিলেন, সেই গ্র‌ুপের সদস্য ছিলেন অভিজিত্‍। অভিজিত্‍ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এস্থার ডাফলো একজন ফরাসি-মার্কিন অর্থনীতিবিদ এবং মিকেল ক্রেমার মার্কিন অর্থনীতিবিদ।

এই মুহূর্তে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত অভিজিৎ বিনায়ক। অভিজিৎ এবং এস্থার ডাফলো যুগ্মভাবে ‘আব্দুল লতিফ জামিল প্রভার্টি অ্যাকশান ল্যাব’ গড়ে তুলেছিলেন বিশ্বের দারিদ্র্য নিয়ে গবেষণার জন্যে।

অন্যদিকে, নোবেল কমিটি জানাচ্ছে, দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে গবেষণার জন্যেই পুরস্কার দেওয়া হল এই ত্রয়ীকে। এস্থার বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অর্থনীতির নোবেল প্রাপক। বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অমর্ত্য সেনের পর আরও এক আদ্যন্ত বাঙালি পেতে চলেছেন এই সর্বোচ্চ সম্মান।

২০১৯ সাল পর্যন্ত এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ৫১বার। এখনও পর্যন্ত ৮৪ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন অর্থনীতিতে অবদান রাখায়। ২৫ জন অর্থনীতিবিদ একক ভাবে এবং ১৯ বার যৌথ ভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ৭ বার তিনজন করে এই পুরস্কার পান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন