নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজীব কুমারে খোঁজ নেই বেশ কিছু দিন থেকে। রাজীব কুমারে কয়েকদিন ধরেই খুঁজে চলেছে সিবিআই। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে তাঁরা। এবার চিটফান্ড তদন্তে উঠে আসছে আরও এক পুলিস কর্তার নাম। সিআইডির স্পেশাল সুপার মির ওয়াকার রেজাক।
সিবিআই সূত্রে খবর, শনিবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে ডিসি পোর্ট মির ওয়াকার রেজাকে। ওই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, বছর তিনেক আগে তিনি যখন চিটফান্ড মামলার তদন্তে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমে ছিলেন। যখন সিআইডির স্পেশাল সুপার ছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে শুল্ক দফতরের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজী কুমারও। সেই মিটিং আলোচনার বিস্তারিত নথি চাওয়া হয়েছে মির ওয়াকার রেজার কাছ থেকে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থার নজরে শহরের এক ট্রাভেল এজেন্ট ও শহরের চার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। রাজীব কুমারকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছেন তাঁরাই।
আরও পড়ুন :আমার সকাল : রাজীব কুমারের পালিয়ে বেড়ানোর ক্ষেত্রে হাত রয়েছে কলকাতার চার ব্যবসায়ীর
রাজীব কুমারের পালিয়ে বেড়ানোর ক্ষেত্রে এক ট্রাভেল এজেন্টের বড় ভূমিকার কথা জানাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে ওই ট্রাভেল এজেন্ট শুধুমাত্র রাজীব কমারকে টিকিট করে দিয়েছেন এমন নয়, বরং তাঁকে লজিস্টিক সাপোর্টও দিয়েছেন। এছাড়াও যেসব ব্যবসায়ীরা রাজীব কুমারকে সাহায্য করছেন বলে জানা যাচ্ছে। একদিকে আর্থিক ভাবে গোয়েন্দা প্রধানকে যেমন সাহায্য করছেন তাঁরা, তেমনই রাজীব কুমারকে গা ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন৷ একই ভাবে মামলার জন্য রাজীব কুমারের হয়ে আইনজীবীর বেতনও দিচ্ছেন এই ব্যবসায়ীরাই৷ তাঁদের অনুমান, রাজীবের গা ঢাকা দেওয়ার সঙ্গে, ওই ব্যক্তির যোগ থাকতে পারে৷
এদিকে, শনিবার আলিপুর জাজেস কোর্টে রাজীব কুমারের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তার পর আজ রবিবার হলেও যথেষ্ট তত্পরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সল্টলেকের সিবিআই দফতরে। জানা যাচ্ছে আজ কমপক্ষে ৫টি টিম সিজিও কমপ্লক্সে থেকে বেরিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাজীব কুমারের খোঁজে হানা দিতে পারে।