নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজীব কুমারে খোঁজ নেই বেশ কিছু দিন থেকে। রাজীব কুমারে কয়েকদিন ধরেই খুঁজে চলেছে সিবিআই। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থার নজরে শহরের এক ট্রাভেল এজেন্ট ও শহরের চার প্রভাবশালী ব্যবসায়ীকে । রাজীব কুমারকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছেন তাঁরাই।
ওইসব বিষয়গুলি নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময়ে গোয়েন্দারা জানাতে পারেছেন, শহরের কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সাহায্য করছেন রাজীব কুমারকে। সিবিআই তার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওইসব ব্যবসায়ীদের খোঁজ পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন: চাপ বাড়ছে রাজীবের, ফের আগাম জামিনের মামলা হলো আলিপুর আদালতে
রাজীব কুমারের পালিয়ে বেড়ানোর ক্ষেত্রে এক ট্রাভেল এজেন্টের বড় ভূমিকার কথা জানাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে ওই ট্রাভেল এজেন্ট শুধুমাত্র রাজীব কমারকে টিকিট করে দিয়েছেন এমন নয়, বরং তাঁকে লজিস্টিক সাপোর্টও দিয়েছেন। এছাড়াও যেসব ব্যবসায়ীরা রাজীব কুমারকে সাহায্য করছেন বলে জানা যাচ্ছে। একদিকে আর্থিক ভাবে গোয়েন্দা প্রধানকে যেমন সাহায্য করছেন তাঁরা, তেমনই রাজীব কুমারকে গা ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন৷ একই ভাবে মামলার জন্য রাজীব কুমারের হয়ে আইনজীবীর বেতনও দিচ্ছেন এই ব্যবসায়ীরাই৷ তাঁদের অনুমান, রাজীবের গা ঢাকা দেওয়ার সঙ্গে, ওই ব্যক্তির যোগ থাকতে পারে৷
উল্লেখ্য, গতকাল রাজীব কুমারের বাসভবনে গিয়ে ফের একবার নোটিস ধরায় সিবিআই। নোটিসে ১৬০ সিআরপিসি ধারায় অবিলম্বে হাজিরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজীব কুমারকে।শহরের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের খোঁজে এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের ইবিজা রিসর্টে হানা দেন তাঁরা৷ রিসর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন৷ একই সঙ্গে ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিটে রাজীব কুমারের যে বাসভবন রয়েছে সেখানেও যান চার সদস্যের একটি সিবিআই টিম৷ এছাড়া রায়চকের একটি রিসর্টেও তল্লাশি করেন তাঁরা৷
জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুরের রিসর্টে গিয়ে প্রথমেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই অফিসাররা৷ গত কয়েকদিনের মধ্যে রাজীব কুমার নামের কোনও ব্যক্তি ওই রিসর্টে এসেছিলেন কিনা, সেই খোঁজ নেন তাঁরা৷ এরপর রিসর্টের রেজিস্টার দেখেন তদন্তকারীরা৷ এবং যেখানেই তাঁদের সন্দেহ হয়েছে, সেখানেই ঢুকে দেখেন তাঁরা৷
রিসর্টের প্রতিটি অংশে ছানবিন করেন৷ শুক্রবার দুপুরে ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিটে রাজীবের বাড়িতেও যান সিবিআইয়ের চারজন সদস্য৷ ৮ নম্বর ফ্ল্যাট অর্থাৎ রাজীব কুমার যেখানে থাকেন, সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা তল্লাশি চালান তাঁরা৷ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আরও দুই সরকারি গেস্ট হাউসে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। কলকাতায় সিবিআইয়ের গেস্ট হাউস ও বিষ্ণুপুরে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট-এর গেস্ট হাউসে তল্লাশি চালান তদন্তকারী অফিসাররা।