আমার সকাল : দিল্লির সাহায্য চাই! চরম বার্তার পর ভারত থেকে জীবনদায়ী ঔষুধ কিনতে রাজি পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিনিধি : কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর ক্ষেপে উঠেছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর থেকেই চরম বিপাকে পাকিস্তান। দেশের একাধিক ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বেহাল অবস্থা চিকিৎসাক্ষেত্রেরও হাসপাতালে অসুস্থ রোগীরা ওষুধ পাচ্ছেন না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ভারতের কাছ থেকে জীবনদায়ী ওষুধ কেনার উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল পাকিস্তান

বেকায়দায় ফেলা যাচ্ছে না নয়াদিল্লিকে, পাশে থাকার বার্তা নিয়ে এবার পাকিস্তানে পার্ক-রাস্তার নাম করা হচ্ছে ‘কাশ্মীরের’ নামে

সোমবার পাকিস্তান বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আগের মতোই ভারত থেকে জীবনদায়ী ঔষুধ আমদানি করা হবে। একই সঙ্গে ভারতেও ওষুধ পাঠানো হবে। কূটনৈতিক মহলের দাবি, ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করার ফলে সে দেশে বাজারের হাল বেহাল। কাশ্মীর ইস্যুর পরপরই ভারতের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার কথা বলার পাশাপাশি ওষুধ ব্যবসায়ীদের এই বিষয়ে হুমকি নির্দেশ জারি করে ভারত থেকে ওষুধ আনা বন্ধ করে দেওয়া করে দেওয়া হয়।

আমার সকাল: কাশ্মীর নিয়ে লাভ হয় নি!ভারতে মুসলিম খেদাও চলছে, এবার এনআরসি নিয়ে মোদীকে তোপ ইমরানের

কিন্তু দিনকয়েকের মধ্যেই তার প্রভাব বুঝতে পারেন ইমরান খান। দেশজুড়ে জীবনদায়ী ওষুধের চূড়ান্ত ঘাটতি শুরু হয়। হাসপাতালে বহু মানুষের প্রাণসংশয় পর্যন্ত দেখা দেয়। অবশেষে বাধ্য হয়েই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে হল ইমরান খানকে। এখন ওষুধ ব্যবসায়ীরা চাইলেই ভারত থেকে জীবনদায়ী ওষুধ পাকিস্তানে আমদানি করতে পারে।

আমার সকাল: বিদ্যুৎ-এর বিল মেটায় নি প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কাটা গেল ইমরান খানের অফিসের ইলেকট্রিক লাইন

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব পাকিস্তান। পাক সংসদেও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-সহ অন্য মন্ত্রীরা কড়া সমালোচনা করেছেন। ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করে ইমরানের সরকার। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ-সহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কই ছিন্ন করে ইসলামবাদ।এমনকী, ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভারতের রাষ্ট্রদূতকেও। ভারত অবশ্য পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তকে তুলোধোনা করে। ইসলামাবাদের এই সিদ্ধান্তকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে কটাক্ষ করে নয়াদিল্লি।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন