আমার সকাল : ইমরানের পরমাণু হুমকি প্ররোচনামূলক, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় যে বক্তৃতা রেখেছেন, তাতে ‘সাম্প্রদায়িক হিংসা’, ‘পরমাণু অস্ত্র’, ‘রক্তগঙ্গা’, ‘অস্ত্র তুলে নেওয়ার হুমকি’ এই সব শব্দবন্ধ উল্লেখ করেন। ইমরানের এ ধরনের মন্তব্য তাঁকে ধ্বংসের মুখে টেনে নিয়ে যেতে পারে। পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানাল ভারত।

পরমাণু যুদ্ধের হুঁশয়ারি ইমরান আগেও দিয়েছিলেন। কিন্তু, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ফের এই হুঁশিয়ারি দেবেন তা অনেকেই ভাবেননি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, “আমি কোনও হুমকি দিচ্ছি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলকে ভাবতে হবে তাঁরা ১৩০ কোটির বাজারকে তোষণ করবেন, না নিরীহ নিরপরাধ নাগরিকদের পাশে থাকবেন। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ যদি যুদ্ধ করে তাঁর প্রভাব কিন্তু গোটা বিশ্বেই পড়বে।”

https://aamarsakal.com/2019/09/24/jaish-e-mohammed-is-changing-the-name-of-the-attack-on-india/

ইমরান দাবি করেছেন, পাকিস্তানে কোনও জঙ্গি সংগঠন নেই! এ প্রসঙ্গে ইমরানকে কটাক্ষ করে বিদিশা বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাভুক্ত ১৩০ জন জঙ্গি যে তাদের দেশে নেই, পাকিস্তান এটা অস্বীকার করতে পারবে? ওসামা বিন লাদেনকে যারা আশ্রয় দেয়, তাদের মুখে এই দাবি মানায় না।”

কাশ্মীর ভারতে অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবিধান মেনেই বাতিল করা হয়েছে ৩৭০ অনুচ্ছেদ। উলটে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্তি করতে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে ভারত। বিদেশ সচিব বিদিশা মৈত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরমাণু হুমকি রাষ্ট্রনায়কোচিত নয়, স্বৈরচারীসুলভ মন্তব্য।

কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে আন্তর্জাতিক মঞ্চের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের হাতিয়ারেই বিদ্ধ হয়েছেন ইমরান। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে ভারত জানিয়েছে, যে দেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়, তারা যেন ভারতকে মানবাধিকারের পাঠ পড়াতে না আসে।

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন